ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পটুয়াখালীতে প্রাথমিক হিসেবে কমপক্ষে ১৭৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । প্লাবিত হয়েছে ফসলের ক্ষেত সহ মৎস্য সম্পদ।
জেলা কন্ট্রোলরুম ওউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, জেলার রাঙ্গাবালীতে ৩৮ টি গ্রাম ,কলাপাড়ায় ৭৬ টি গ্রাম, দশমিনায় ১২ টি গ্রাম ,মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫ টি গ্রাম, গলাচিপায় কমপক্ষে ১০ টি গ্রাম,বাউফলের ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে,দুমকী উপজেলায় ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলা মৎস বিভাগের হিসেবে পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারের পনিতে ভেসে গেছে ৩২০০ পুকুর ও ঘের। যার মধ্যে ২৬০০ পুকুর,ও৬০০ ঘের। ক্ষতির পরিমান ৫০ কোটি টাকা। রাঙ্গাবালী উপজেলার চরলতা গ্রামের গ্রামের মাছের ঘের মালিক দবির গাজী বলেন, এ বছর লোন নিয়ে মাছের ঘের করেছি। ঘেরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬ লাখ টাকার মাছ ছিল। কিন্তু ইয়াসের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার ঘেরের সব মাছ বের হয়ে গেছে। এখন কি করব তা বুঝে উঠতে পারছি না।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, গতকাল থেকে ইয়াসের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। উচ্চ জোয়ারের পানিতে জেলার বিভিন্ন স্থানের পুকুর ও ঘের তলীয়ে যায়। তবে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।রাঙ্গাবালী উপজেলার ৮০ ভাগ মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। তবে আজ দুপূরে পুনরায় জোয়রের পানিতে তলিয়ে ক্ষতির পরিমান আরও বাড়বে।
এছাড়াও পানিউন্নয়ন বোর্ডের সূত্র মতে,জেলার ৪১ কিলোমিটার ঝুকিপূর্ণ বেড়ীবাধের অতিমাত্রার ১৫ কিলোমিটার বেরী বাধের মধ্যে ঝুকিপূর্ন ১৫ কিলোমিটারের অধিকাংশ এলাকা দিয়েই পানি প্রবেশ করে বাধ গুলি বাধগুলি বিনষ্ট হওয়ার পথে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন