ভোলায় ইয়াসের ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় ভোলায় দিনভর ভোলায় ঝড়ো বাতাস বইছে । ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ ১৪ কিলোমিটার। নদী ছিলো উত্তাল। অন্যদিকে ঝড়ের প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ৪/৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরী, ঢালচর ও চর পাতিলাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।গতকাল রাতে লালমোহন উপজেলার চরছকিনায় গাছের নীচে চাপা পরে আবু তাহের(৪৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে তলা ফেটে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রলারে কিছু জাল নস্ট হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের সময়ে ইলিশা ফেরীঘাট এলাকায় ৩/৪টি দোকান ভেঙ্গে গেছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান। অপরদিকে মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া পয়েন্ট দিয়ে একটি পুরাতন বাঁধ ধ্বসে গেছে। তবে বিকল্প বাঁধ থাকায় এতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি।
ঝড়ের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় ভোলা-বরিশাল, ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করেছে বিআইডব্লিটিএ। পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
ভোলা বিআইডব্লিটিএ সহকারি পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বিপদ সংকেত কম থাকলেও ঝড়ের কারনে নদী অনেক উত্তাল, তাই বড় এবং ছোট সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
অপরদিকে ভোলা-লক্ষীপুর রুটেও ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ইনচার্জ মোঃ পারভেজ খান। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলার সাথে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশীরভাগ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর বলেন,আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্তিতি স্বাভাবিক ।বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে । পরিস্তিতির উপর নির্ভর করে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন