শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজার উপকূলে ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে ক্ষতবিক্ষত বেড়ীবাঁধ, তলিয়ে গেছে হাজারো ঘরবাড়ি

ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায়

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ৫:২৬ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছে কক্সবাজারের মানুষ। তবে এর প্রভাবে সমুদ্রে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে বেড়ীবাঁধ। কুতুবদিয়া, টেকনাফের শহপরীর দ্বীপ, ৩/৪ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় শত শত ঘরবাড়ি ও লবণ মাঠ। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে চারপাশ।

সমুদ্রে জোয়ারের পানি বেড়ে বড় বড় বড় ঢেউ আঁচড়ে পড়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কে। কিছু কিছু এলাকায় সাগরতীরের মাটি ভেঙে পড়েছে।তবে মেরিন ড্রাইভ সড়কের কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি।

ইনানী রয়েল টিউলিপ এলাকায় থেকে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন, বুধবার (২৬ মে) সকাল ৯টা থেকে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়েযায়। ঢেউ আচড়ে পড়ে মেরিন ড্রাইভে। সমানতালে বৃষ্টি আর বাতাস বইছিল তখন। এতে পানিতে প্রায় ডুবে যায় নৌবাহিনীর নির্মিতব্য জেটিঘাট।

শাহপরীর দ্বীপের বেড়ীবাঁধ জোয়ারের তোড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। শহরের কুতুবদিয়া পাড়া ও মহেশখালীরর মাতারবাড়ীর পশ্চিমের বেড়িবাঁধ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারী জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাফুজুর রহমান উপকূলীয় এলাকা পরির্দশন করে তাদের সরিয়ে নেন।

কক্সবাজার শহের নিম্নাঞ্চল থেকে মাইকিং করে এবং সেচ্ছাসেবক বাহিনী দিয়ে লোকজনকে সরিয়ে নেন মেয়র মুজিবুর রহমান।

কুতবদিয়া থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল বশর চৌধুরী জানিয়েছেন, কুতুবদিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়ীবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। তিনি আলী আকবর ডেইল এলাকা থেকে জানান, ওই ইউনিয়নের এক নম্বর দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাদিরপাড়া, কাহারপাড়া, তেলি পাড়া ও পণ্ডিত পাড়ার শত শত ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটেন। এলাকার শত শত বাড়িঘর তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। তিনি ওই এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

এদিকে কক্সবাজার শহরের কুতুবদিয়া পাড়া, সদরের বেড়ীবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে শুটকি পল্লী সহ ব্যাপক জনবসতি জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

দুপুরে আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার ঘূর্ণিঝড় এর ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণায় কক্সবাজার উপকূলের মানুষ স্বস্তি ফিরে পায় এবং মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন