ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চরখালী বাজারের দক্ষিণ পাশ্বের প্রায় ৮০ ফুট ও বাসন্ডা গ্রামের হওলাদার বাড়ি সংলগ্ন পায়রা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে চরখালী, মেন্দিয়াবাদ ও রানীপুর ও বাসন্ডা এই চারটি গ্রাম ও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৬ ফুট পানি বেড়ে সুবিদখালী বাজার, পূর্ব-সুবিদখালী, কপালভেরা গ্রাম, মাজার এলাকা, কালিকাপড় ও রামপুরা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ওই সব গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে প্রায় ১০০ একর জমির রোপা আউশ ধান। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে মৎস্য চাষীরা, সবজী চাষীরা।বুধবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও মাঝে মাঝে থেমে-থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয় মির্জাগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাছের ঘেড় তলিয়ে গেছে আমি খবর পেয়েছি। তবে আমরা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন নির্দেশনা পাইনি। যাদের যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বুধবার ওই ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে জানান, জোয়ারের পানি বিপদ সীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঢেউয়ের আঘাতে এ পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ৮০ ফুট ভেঙ্গে গেছে। পানি কমে গেলে দ্রæত বেড়িবাঁধটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন