শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্টার অবরুদ্ধ

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২১, ৩:৫৩ পিএম

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী (দৈনিক মজুরি ) কর্মচারীরা উপাচার্য ও রেজিস্টারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ।
বুধবার বেলা ১১ টা থেকে তাদের অবরুদ্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান ওই অস্থায়ী কর্মচারীরা । আন্দোলনরত কর্মচারিদের চাকুরি স্থায়ী করনে অফিস আদেশের দাবি তারা উপাচার্য ও রেজিষ্টারের দপ্তরে কেচি গেটে তালা লাগিয়ে দেয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আনতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছে । রিপোর্ট প্রেরণ পর্যন্ত অবরুদ্ধ আছেন উপাচার্য ও রেজিষ্টার ।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ কিউ এম মাহবুব বলেন , আজ বেলা ১১ টার দিকে আমার ও রেজিষ্টারের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে মাষ্টারোলে কর্মরত কর্মচারিরা। পুলিশ প্রশসান এসেছে তারা আন্দোলনকারিদের সাথে কথা বলছে।
এখানে বিগত উপাচার্য ড.খন্দকার নাসির উদ্দিন এই সমস্যা সৃষ্টি করে রেখে গেছে । তিনি তার সময়ে বিশ^বিদ্যালয়ে অবৈধ ভাবে কিছু লোককে কাজ দিয়েছিলো । তাদের নেই কোন নিয়োগ নেই কোন আদেশ। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কিছু টাকা তাদের দিতেন । আমি যোগদানের পর এদের মধ্যে থেকে যারা হতদরিদ্র তাদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কিছু টাকা দিয়েছি । এতো লোক আমাদের এখানে প্রয়োজন নেই। আমরা কি করে তাদের কাজে লাগাবো ।
তিনি আরো বলেন , আন্দোলনকারিরা মনে করেছেন জুন মাস চলছে। বিশ^বিদ্যালয়ে কিছু নিয়োগ আসতে পারে। তাই তারা লাভবানের আশায় নিয়োগ পাওয়ার জন্য এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে । এখানে যদি কোন লোক প্রয়োজন হয় তা আমরা স্বচ্ছতার মধ্যে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবো । এতো লোক আমরা নিতে পারবো না ।

আন্দোলনকারি মাসফিকুর বলেন , আমরা গত বছর ১৩ মাস আন্দোলন করেছি । ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সময় বলেছে আমি রুটিন দ্বায়িত্ব পালন করছি। আমার নিয়োগ দেওয়ার কোন ক্ষমতা ক্ষমতা নেই । উপাচার্য নিয়োগ দিলে তখন একটা ব্যবস্থা হবে ।
২ জুন থেকে আমরা দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ১৩২ জন আন্দোলন করে আসছি । ১২ জুন আমরা রেজিষ্টার স্যারের পায়ে ধরেছি অথচ তারা একটুও সদয় হননি । আজ ভিসি ও রেজিষ্টার দপ্তর তালা বন্ধ করে রেখেছি । আমাদের দাবি না মানলে অবরুদ্ধ থাকতে হবে ।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন , আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছি । বর্তমানে আমাদের একটি টিম সেখানে আছে । এটি বিশ^বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন বিষয়। তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আশাকরি আলোচনা সাপেক্ষে একটি ভালো ফলাফল আসবে ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন