পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়নে বৃষ্টির পানিতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ছয় গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা হয়ে পড়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। ঢালার মুখ, হারকিল্লার ধাঁরা, রমিজ পাড়া, মাঝের পাড়া, দরগা মোড়া, সোনাইছড়িসহ পাহাড়ি জনপদের এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ঢালার মুখ-হাজী বাজার সড়ক। স¤প্রতি পাহাড়ি ঢলে সড়কের মাঝের পাড়া অংশের প্রায় দুইশ’ মিটার সড়ক পানিতে বিলীন হয়ে যায়। এতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছয় গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাঝের পাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সোনাইছড়ির পাহাড়ি ছড়া। ছড়ার ওপর রয়েছে একটি ব্রিজ। অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড়ের প্রবল ঢলের পানি ছড়ায় কানায় কানায় ভরপূর হয়। এতে সেতুর দক্ষিণ পাশের রাস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ঢলের প্রবল স্রোতে ওই রাস্তার ভাঙন দুইশ মিটার দৈর্ঘ্যের খাদে পরিণত হয়। জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙনের ওপর বাঁশ-গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করছে। এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করে গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। তবে সাঁকো পারাপারে নারী-শিশু ও বয়স্কদের হচ্ছে দারুন অসুবিধা। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ পারভেছ বলেন, ওই পাহাড়ের সাধারণ মানুষ সবজি, লাকড়ি, পানসহ নানা কৃষিজপণ্য, বনজ সম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তারা এ সড়ক দিয়ে হাট-বাজারে নিয়ে বেচা বিক্রি করে থাকেন। তাছাড়া দু’টি নূরানী মাদরাসা ও মসজিদ-মক্তবে যাতায়াতে এ সড়ক ব্যবহার করে থাকে শত শত শিশুরা। সড়কের অংশটি বানের পানিতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। টৈটং ইউপি সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, এ সড়ক বিলীন হওয়ায় বর্তমানে পাঁচটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। সড়কটি দ্রæত সংস্কারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল বলেন, সড়কটির ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। এটি দ্রæত সংস্কারে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জনসাধারণের দুর্দশা লাঘবে অতিবৃষ্টির পানিতে বিলীন হয়ে যাওয়া সড়কটি দ্রæত মেরামতের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন