আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মাদারীপুরের খামারীদের দেশীয় পদ্ধতিতে উৎপাদিত গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। মহামারি করোনার জন্য চলামান লকডাউনের কারণে গরুর খাদ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেশী থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। গরু বিক্রি নিয়ে ভাবনায় পরেছেন খামারীরা। জেলায় ১০টি হাট বসলেও অনলাইনে গরু বিক্রিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন।
রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের এম. এ. রশিদ আজাদ জানান, তার আদর্শ পশু পালন কেন্দ্রে ৮৩ টি গরু আছে। এখানের সম্পূর্ণ সবুজ ঘাস খাওয়ানো হয় গরুদের। খামারের পাশেই সাড়ে সাত বিঘা জমির উপর নিপিয়ার ঘাস লাগানো হয়েছে। গরু প্রতি প্রতিদিন প্রায় ২শ টাকা খরচ হয়। প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার টাকা খরচ এই খামারে। কোরবানির ঈদে যদি গরু বিক্রয় করতে না পারে তাহলে শ্রমিকদের বেতন ও স্থানীয়ভাবে নেয়া ঋণ দিতেই হিমসিম খেতে হবে ।
শুধু রশিদ আজাদ নয়, তার মতো একই অবস্থা মাদারীপুরের ছোট বড় ২হাজার ৯৮টি খামার মালিকের। কিছু কিছু খামারিরা অনলাইনে বিক্রির ব্যাবস্থা করেছে। অনেক খামারি আবার লাইফ ওয়েট এর মাধ্যমে গরু বিক্রি করছে। এক এক খামারি এক এক রকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে গরু বিক্রয় করার চেষ্টা করছে। সঠিক মূল্যে গরু বিক্রি করতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের।
মাদারীপুর জেলা প্রনিসম্পদ কর্মকর্তা, ডাঃ এ. কে. এম আনোয়ারুল হক বলেন জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। এবছর জেলায় কোরবানির জন্য ৩৪ হাজার ১শ’ ২৫টি পশুর চাহিদার বিপরিতে উৎপাদন হয়েছে ৩৬ হাজার ২শ’ ৩৫ টি পশু
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, জেলায় গরুর চাহিদার চেয়ে বেশী গরু উৎপাদন হয়েছে। আর চাহিদার অর্ধেকের বেশী । অনলাইনে পশু বেচা-কেনার পরামর্শ দেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন