গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩ জন আহত, ৮টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বর্ষাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদিউজ্জামান বিশ্বাসের সাথে মামুনুর রশীদ সিকদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে আজ বুধবার সকালে বদিউজ্জামান বিশ্বাসের লোকজন মামুনুর রশীদ সিকদার গ্রুপের রিপন বিশ্বাস (৩৩) কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার পরে মামুন সিকদারের লোকজন একত্রিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বদিউজ্জামান বিশ্বাস গ্রুপের কালাম বিশ্বাস, রব বিশ্বাস, দিদার বিশ্বাস, রসুল বিশ্বাস, ফেরদাউস বিশ্বাস, বাচ্চু বিশ্বাস, শামিম বিশ্বাস ও ফকা বিশ্বাসের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ সময় বাঁধা দিতে গিয়ে লাভলী বেগম(৪৫), নাইম বিশ্বাস (২৫) গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে চলতি মাসের ১১ তারিখ উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত ও ৭টি ঘর ভাঙচুর করা হয়।
বদিউজ্জামান বিশ্বাস বলেন, মামুন সিকদারের লোকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনের ৮টি বসতঘর ভাঙচুর করে লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে তারা নিরীহ লোকজনদেরকে মারপিট করে। একটি বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে। ভয়ে কন্যার পরিবার উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে মামা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। গত কয়েকদিন আগেও মামুন সিকদার তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
এ বিষয়ে মামুনুর রশীদ সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ভাঙচুর ও লুটপাটের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার কোন লোকজন বদিউজ্জামান বিশ্বাসের লোকজনকে মারধর করেনি,বদিউজ্জামাল বিশ্বাসের লোকজন আমাদের রিপন বিশ্বাসকে অতর্কিত ভাবে উপুর্যপুরি কুপিয়ে জখম করেছে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন