গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে অগ্নিকান্ডে বানিয়ারচর বাজারের ১১টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্থদের। একটি দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুকসুদপুর থানার ওসি মো.আবুবকর মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, অত্র উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক মিশনের পশ্চিম পাশের বাজার অবস্থিত। শনিবার বিকাল আনুমানিক সোয়া ৪টার দিকে বাজারে শংকরের ইলেকট্রিক দোকানের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। দেখতে দেখতে মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী দোকান গুলোতে। খবর পেয়ে মুকসুদপুর ও পাশ^বর্তী রাজৈর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহযোগীতায় দমকল দিয়ে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
মুকসুদপুর থানার ওসি আরো জানান, এসময় অগ্নিকান্ডে পাটের গুদাম, ফার্নিচারের দোকান, ইলেকট্রিকের দোকান, ফার্মেসি, মুদিমালসহ অন্যান্য ছোটবড় ১১টি দোকান ও দোকানের মালামাল এবং নগদ অর্থ আগুনে পুড়ে যায়। ওসি বলেন, অগ্নিকান্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। এঘটনায় এলাকার সমাজ সেবী এবং মার্কেট মালিক রেনেতা পান্ডে ও বাবু বিশ্বাস জানান, অগ্নিকান্ডে দোকান মালিক নিখিল কীর্ত্তনীয়া, বিধান হালদার, শংকর ইলেক্ট্রনিক,নরোত্তম, শোভন মোহন্ত, প্রানজুড়ান ও বদন বাইনসহ নাম না জানা আরো অনেকের দোকান ও মালামাল পুড়ে গেছে। এতে অনেকেই তাদের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে ফেলেছে। তারা ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে আর্থিক সহযোগীতার জন্য সরকারে কাছে দাবী জানিয়েছেন।
এঘটনায় তাৎক্ষনিক মুকসুদপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জুবায়ের রহমান রাশেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে। এঘটনার পর থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন