প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে অসত্য বক্তব্যের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ কোটালীপাড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুর রহমান আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ আদেশ দেন। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, জামালপুরের নূরু রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগে স্বাধীনতাবিরোধীরা রয়েছে।
এ ছাড়া তিনি মামলার বাদী সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট দোলেয়ার হোসেন সরদার ও তার পিতা হাসেম সরদারসহ ২৩ জনকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন। ওই সংবাদটি ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ও ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত পত্রিকায় ছাপা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদারের মানহানি হয়। সরকারী কৌঁসুলি ও মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদার জানান, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও নিজের এবং আমার পিতার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন সরদার ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ আমলি আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রুহুল কবির রিজভীকে অভিযোগে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এই মামলায় অপর দুই অভিযুক্ত দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। আজ মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় কোটালীপাড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমান আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন