বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

কুমিল্লার ঘটনা শেখ হা‌সিনার পরিকল্পিত: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২১, ৬:১৩ পিএম

কুমিল্লার ঘটনা শেখ হা‌সিনার পরিকল্পিত। এই সরকারের পরিকল্পিত ঘটনা ব‌লে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশের জনগণ, কোনো রাজনৈতিক দলই এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির বিনষ্ট করে নাই। এগুলো করেছে এই সরকার।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলা‌দেশ জাতীয় দলের উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, কুমিল্লার ঘটনা ঘটা‌নোর কারণ হলো তাদের (আওয়ামী লীগের) ব্যর্থতা, গণতন্ত্রহীনতা, জোর জবরদস্তি ডাকাতের মতো করে ক্ষমতা দখল করে আছে এখান থেকে বিশ্বে নিজের ভাবমূর্তি ভালো করার জন্য। উনি (শেখ হাসিনা) দেখাচ্ছেন এই দেশে সাম্প্রদায়িক যাইহোক আমি কঠোর হস্তে দমন করতে পারি। কাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা তাই বলছে। তার মানে কুমিল্লার ঘটনা পরিকল্পিত, সাজানো, চক্রান্তমূলক। একটা কথা আছে সর্প হইয়া দংশন করি ওঝা হয়ে ঝাড়ি। আওয়ামী লীগ সরকার যারা অবৈধভাবে আছে তারা সেই কাজটি করছে। সর্প হইয়া দংশন করছে আবার ওঝা হয়ে ঝাড়ার চেষ্টা করছে। আর এইগুলো ঢাকতে গিয়ে কত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা আপনার তো দয়া মায়া নাই এই দেশের উপর। কারণ আপনি শেখ হাসিনার চান প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে। প্রভুদের সন্তুষ্ট করার জন্য এমন কোন কাজ নাই যে আপনি করতে পারেন না। তাই কুমিল্লার ঘটনা আপনার পরিকল্পিত। এই সরকারের পরিকল্পিত ঘটনা।


‌তি‌নি ব‌লেন, এশিয়ার মধ্যে চালের দাম এখন সবচাইতে বেশি বাংলাদেশ। পিঁয়াজ, মরিচ, তেল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর দাম হু হু করে বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য গুলো তে হাত দিলে বিদ্যুতে যেমন হাত দিলে সক করে তেমনি সক করে। আমার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সুপ্রিয় পানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এইযে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এটা সরকারের নিয়ন্ত্রণের কথা দূরে থাক সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। কথা বলার অধিকার নাই। গণতন্ত্র নাই। ভোটের অধিকার নাই। আর শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের কবরের উপর নিত্য প্রয়োজনীয়দ্রব্যর মূল্য বাড়াচ্ছে। কারণ তার লোকের পকেট যেন ভারী হয়। আরে এটা থেকে দেশের জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্য কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা নাকি সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দিয়েছে। তিনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আসার পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে। আমরা আগে সাম্প্রদায়িক বিনষ্টর কথা শুনি নাই এই সরকারের আমলেই আমরা এই কথা শুনেছি।

ছাত্রদলের সাবেক নেতা বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায় আমাদের অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী বন্ধুত্বর বন্ধনীর মধ্য দিয়ে যেকোন উস্কানি রুখব। আমাদের দৃঢ় বন্ধন আমরা বজায় রাখব। এই সরকারের উস্কানির মুখে আমরা কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবো না। কারণ আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সেটা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাজনীতিতে এসেছেন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। আর তিনি শত্রুপক্ষ বানিয়েছেন এদেশের জনগণকে। তা না হলে তিনি গণতন্ত্র হত্যা করবেন কেন?

নাৎসিবাদের থাপা প্রেসক্লাবে পড়েছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রেসক্লাব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি জায়গা। চারিদিকে যখন ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদ এর জুলুম তখন গণতন্ত্রকামী মানুষ প্রেসক্লাবের দাঁড়িয়ে তাদের অধিকারের কথা বলতে পারে। আর সাংবাদিকরা দুলাইন হলেও লিখতে পারে। কিন্তু নাৎসিবাদের থাবা প্রেসক্লাবে বিস্তার করেছে। এটা বিরল ঘটনা।

তিনি বলেন, বিএনপিকে সভা করা নিষেধ করা হয়েছে এর একটি কারণ হলো দেশে গুম খুন হত্যা আরো ঘটবে অতএব তোমরা কোন কথা বলতে পারবে না। কে মানববন্ধন করতে পারবেনা প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে কোন সভা করতে পারবে না। কথা বলার জন্য যে ন্যূনতম জায়গা ছিল আজ সেটাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলেছে এই জন্য আপনি বন্ধ করেছেন? গায়ের জ্বালা একটাই যে তারেক রহমান লন্ডনে থেকে কথা বলেছে। যারা অন্যের কন্ঠরোধ করে। অন্যের গলায় ফাঁসি ঝুলায় সেই ফাঁসির দড়ি ক্রমাগত তার দিকেই যায়। আপনারা সরকারে যারা আছেন এটা হয়তো টের পাচ্ছেন না। মনে করছেন একের পর এক পার পেয়ে যাচ্ছি। আমাদের ঠেকায় কে। কিন্তু যেদিন থেকে যাবেন সেদিন আর্তনাদ করেও পার পাবেন না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এহসানুল হক হুদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপি'র যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন