বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সকল ফিচার

স্থবির চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন

চালক শ্রমিকদের কর্মবিরতি

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

১৫ দফা দাবিতে ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতিতে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন স্থবির হয়ে পড়েছে। থমকে গেছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করে মালিক শ্রমিকেরা। বন্দরের ৫নং গেইট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। এসময় আমদানি করা পণ্য ডেলিভারি নিতে কোন ট্রাক-কার্ভাড ভ্যান এবং লরি বন্দরে ঢুকতে পারেনি। তেমনি বন্দরের জেটিতে থাকা গাড়িগুলোও সকালে বন্দর থেকে বের হতে পারেনি।
ফলে বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার থেকে পণ্য খালাস এবং কন্টেইনার পরিবহন কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তবে দুপুরের পর থেকে বন্দরে জরুরি আমদানি-রফতানি পণ্যবাহি বিপুল সংখ্যক কাভার্ড ভ্যান আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে। কর্মবিরতির ফলে বন্দর থেকে নগরীর ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে কন্টেইনার পরিবহন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় সড়কে যানবাহনের চাপও কমে যায়। বন্দর টোল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় সারি সারি কন্টেইনারবাহি লরি অলস বসে থাকতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরে জাহাজে কন্টেইনার ওঠা-নামা সচল রয়েছে। তবে লুজ কার্গো বা খোলা পণ্য পরিবহন, কন্টেইনার থেকে ট্রাক বা ভ্যানে এবং বন্দরের কন্টেইনার অফ ডকে যাওয়া বন্ধ আছে।
টানা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ফলে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহি কন্টেইনার ডেলিভারি ও মালামাল পরিবহন বন্ধ থাকায় উদ্বিগ্ন বন্দর ব্যবহারকারীরা। ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে আমদানি-রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম বলেন, ১৫ দফা দাবি না মানায় সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির কারণে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ আছে। ১৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল, ইতোমধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে, যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছে তাদের সহজ শর্তে এবং সরকারি ফি’র বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে, সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের রেশনিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন