চট্টগ্রামের উইকেট মিরপুরের মত এত সেøা ও লো হবে না, তা কারও অজানা নয়। ভেন্যু পরিবর্তনের সাথে সাথে তাই বাংলাদেশকে ভাবতে হচ্ছে বাউন্স নিয়ে। পাকিস্তানের দারুণ মানের পেসাররা বাউন্স দিয়ে যেন টাইগারদের কাবু করতে না পারেন, এজন্য বাংলাদেশ বেছে নিল অভিনব পন্থা।
গতকাল থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন। এ সময় অনুশীলনে বাংলাদেশ দল ব্যবহার করেছে গ্রানাইট স্ল্যাব। যেখানে বল পড়লে তা সাধারণত যতটুকু লাফায় তার চেয়েও বেশি লাফিয়ে ওঠে। এতে বাউন্সের বিপক্ষে খেলার অনুশীলন করা যায় ভালোভাবে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দেখানো সেই পথেই হাঁটলেন অ্যাশওয়েল প্রিন্সরা।
নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলীরা যেন হুমকি হয়ে উঠতে না পারেন এজন্য দিনের অনুশীলনে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে ব্যাটিং নিয়ে। অপেক্ষাকৃত নতুনদের নিয়ে কোচ ব্যস্ত ছিলেন অনুশীলনের পুরো সময় জুড়ে। ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মাহমুদুল হাসান জয় পেয়েছেন বাড়তি গুরুত্ব।
জয় এবারই সুযোগ পেলেন জাতীয় দলে। ইয়াসির তিন বছর ধরে আছেন দলের সাথে, যদিও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। বুধবার এই দুজনের সাথে ব্যাটিং কোচের কাজ করা দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে এই দুই ক্রিকেটার আছেন বেশ ভালোভাবেই। শুধু ব্যাটিংই নয়, অন্য দুই ডিপার্টমেন্ট নিয়েও এদিন অনুশীলনে ঘাম ঝরায় বাংলাদেশ দল। আগামীকাল জহুর আহমেদ চৌধুরীতে শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন