প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর আলোর মুখ দেখেনি ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ। সর্বশেষ এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছিল ২০১৮ সালে। এরপর সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস জেঁকে বসায় বন্ধ হয়ে যায় সব খেলাধুলা। এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফুটবলের ঘরোয়া আসরগুলোও বন্ধ থাকে। করোনার কারণে দুই বছর আয়োজন করা সম্ভব না হলেও স্বাধীনতা কাপ দিয়েই শনিবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। এবারের মৌসুমসুচক টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপে খেলছে ১৫টি দল। দলগুলো চার গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। খেলা হবে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন শনিবার উত্তর বারিধারা ক্লাবের প্রতিপক্ষ গত আসরের রানার্সআপ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। খেলা শুরু হবে বিকাল ৪টায়। একই মাঠে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা ৬টায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
প্রতি বছর ফেডারেশন কাপ দিয়ে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম শুরু হলেও এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা কাপ দিয়েই শুরু হচ্ছে নতুন মৌসুম। এবারের স্বাধীনতা কাপে দেশের তিন জায়ান্ট মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আবাহনী লিমিটেড ও বসুন্ধরা কিংস পড়েছে ভিন্ন গ্রুপে। ফলে গ্রুপ পর্বে মোহামেডান-আবাহনী, মোহামেডান-বসুন্ধরা কিংস বা আবাহনী-বসুন্ধরা কিংস লড়াই উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন না দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। গ্রুপ পর্ব শেষে চার গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল খেলবে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ আটের সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনাল এবং সেমির শীর্ষ দুই দল শিরোপা নির্ধরাণী ম্যাচ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ডিসেম্বর।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হচ্ছে- ‘এ’ গ্রুপ : ঢাকা আবাহনী, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও প্রিমিয়ার লিগের নতুন দল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। ‘বি’ গ্রুপ : শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, উত্তর বারিধারা ক্লাব ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দল। ‘সি’ গ্রুপ : মোহামেডান, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন