ভোলায় যুবলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবার ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে জানান, গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষ করে ওই ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ. কে. এম. নাছির উদ্দীন নান্নুসহ তার অর্ধশত নেতাকর্মী একটি ট্রলার যোগে ভোলার নাছিরমাঝি ঘাটে আসার পথে নদীর মাঝপথে দুইটি স্পিডবোট যোগে ১৫ থেকে ১৬ জন দুর্বৃত্ত চেয়ারম্যানের ট্রলারে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিবর্ষণে খোরশেদ আলম টিটু নিহত হন। আহত হয় আরও ৩ ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর রাতে ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন চকেট তার ভাই কামাল উদ্দিন, ভাতিজা শাহিন ও নিরবের নামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই হানিফ ভুট্টু। তবে মামলার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনো কোনো আসামিকে আটক করতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নিহতের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত টিটুর স্ত্রী রোকেয়া বেগম তার দুই সন্তান ও দৌলতখান উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম খান ও পৌর মেয়র মো. জাকির হোসেন তালুকদারসহ জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন