বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ স¤পাদক জায়েদ খানসহ কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে কিছু সদস্যর চাঁদা নিয়ে রশিদ না দেয়ার অভিযোগে জিডি করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় এই জিডি করেন ফাইট ডিরেক্টর মকবুল হোসেন আরমান। জিডির নম্বর ৩৮৮। জিডিতে আরমান উল্লেখ করেছেন, ২৪০ জন সদস্য শিল্পী সমিতির বার্ষিক চাঁদা হিসেবে জনপ্রতি ২৪০০ টাকা করে সমিতি কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জাকির ও জামালের কাছে জমা দিয়েছেন। চাঁদার রশিদ সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ১৫ দিন ধরেই দিচ্ছি দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না। জাকির ও জামালের কাছে গেলে তারা জানায়, সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদক স্বাক্ষর করছেন না, আমি কি করবো। গত শনিবার সদস্যদের চাঁদা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। কিন্তু আমরা চাঁদা জমা দেওয়ার কোনো রশিদ পাইনি। কিন্তু মিশা-জায়েদ খান প্যানেলের সব সদস্যদের চাঁদার রশিদ দেওয়া হয়েছে। জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, আমাদের টাকায় রশিদ কেটে মিশা-জায়েদ সদস্যদেরকে পাঠিয়ে বলছেন, তোমাদের টাকা আমরা দিয়ে দিয়েছি। ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় জাকির ও জামালের কাছে রশিদ চাইতে গেলে তারা বলেন, আপনাদের টাকা ফেরত নিয়ে যান। জায়েদ খান নিয়মিত অফিস করলেও আমাদের রশিদে স্বাক্ষর করেনি। মিশা-জায়েদ প্যানেলের সদস্যরা নিজেদের প্যানেলের স্বার্থেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য ডায়েরি করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে জিডি করা হয়েছে। এটা অনেকটা প্রতিহিংসার প্রকাশ এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। যে অভিযোগ জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই যে, যিনি জিডি করেছেন তিনি একসঙ্গে উল্লেখিত সদস্যদের চাঁদা পরিশোধ করে রশিদ নিয়ে যেতে চেয়েছেন। এটা তো করা যায় না। যার যার চাঁদা সে পরিশোধ করে রশিদ নিয়ে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। অন্যের রশিদ তো আরেকজন নিয়ে যেতে পারেন না। এদের মধ্যে অনেক সম্মানিত সদস্য রয়েছেন, যারা নিজেদের চাঁদা নিজেরা পরিশোধ করেন। তারা আমাকে জানিয়েছেন, চাঁদার রশিদ যেন অন্য কারো কাছে দেয়া না হয়। আমরা নিজেরা চাঁদা পরিশোধ করে রশিদ নেব। জায়েদ বলেন, এ নিয়ে জিডি করার কিছু নেই। এটা করা হয়েছে, সমিতির বদনাম করার জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন