বিধিনিষেধ ভেঙে আবারো ছুটির দিনে বেড়েছে দর্শনার্থী। তাই মেলার আশপাশে মহাসড়কে দেখা গেছে তীব্র যানজট। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিরসনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কড়াকড়ি আয়োজন থাকলেও মেলায় এসে কেউ স্বস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬ তম আসরের শুরু থেকেই মেলায় ছুটির দিনে বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায়। মেলার ২১তম দিনেও এমন চিত্র দেখা যায়। দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ায় স্বস্তি পাচ্ছেন মেলার ব্যবসায়ীরা। মেলার আগত দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার জন্য প্রবেশ পথ ছাড়াও তাদের পণ্য প্রদর্শনীর জন্য স্টলে স্টলে রাখা হয়েছে মাস্ক, স্যানিটাইজর। নিরাপদ দূরত্ব রেখে, মাস্ক ব্যবহার করে মেলায় প্রবেশের জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেশীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে বিদেশি পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই বিদেশি পণ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তবে ব্যতিক্রম ভারতীয় ও চায়না পণ্য। তাদের পণ্য সাধারণের হাতের নাগালে থাকায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে। ছুটির দিনগুলো আশার আলো জোগাচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউপি সদস্য রিটন প্রধান বলেন, সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ মান্য করেই মেলা চলছে। ওই বিধি বিধানের শুরু থেকে দর্শনার্থী কিছুটা কম হলেও ছুটির দিনে পর্যাপ্ত লোকের সমাগম হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলায় পাশে থাকা এশিয়ান বাইপাস ও ৩শ ফুট সড়কে কাজ চলমান থাকায় তীব্র যানজট। কাঞ্চন সেতুর টোল এলাকায় সৃষ্ট যানজট এশিয়ান বাইপাসের উলুখোলা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। প্রতি ছুটির দিনেই বিকাল ৫টা থেকে রাত পর্যন্ত এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এসব বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ট্রাফিক বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত জনবল পুলিশ সদস্য ছাড়াও মেলায় দায়িত্বরত সদস্যরা বিশেষ টিম হয়ে কাজ করছেন। তাছাড়া এশিয়ান বাইপাস সড়কে নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় সরকারি ছুটির দিনে জটিল হচ্ছে পরিবহন পরিবেশ।
মেলার ব্যবসায়ীদের দাবি, স্টল পেতে বরাদ্দ বাজেট, সাজসজ্জা ও কর্মচারী বেতনসহ বড় অংকের খরচ হয়ে গেছে। তাই লোকসান গুনে ভাগ্যের উপর নির্ভর করবেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন