শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

বাড়তি দামেই ভোজ্যতেল

বেড়েছে সবজির দাম কমেছে মুরগির

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

একদিকে অর্থনীতির বেহাল অবস্থা, আরেকদিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির লাগাম। জ্বালানি তেলের দরবৃদ্ধির পর এর প্রভাবে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। শীতকালের ভরা মৌসুমেও সবজির বাজারে স্বস্তি খুঁজে পাননি ক্রেতারা। গত সপ্তাহের তুলনায় আবারও চড়া হয়েছে এই সবজির বাজার। প্রতি কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা করে দাম বেড়েছে সবজির। আগামী ৬ ফেব্রæয়ারির আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তবে মন্ত্রীর সেই কথা বাস্তবে রূপ নেয়নি। বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুরোধ উপেক্ষা করে ভোজ্যতেল সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ফের বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সময়ে বাজারে কমেছে মুরগি, আলু ও পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
রাজধানীর বিভিন্ন সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শিম মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা। শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। শাল গমের (ওল কপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও শাকের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।
এ সব বাজারে পুরান ও নতুন আলুর দাম কমেছে। দাম কমে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। পুরান আলুর কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা। দাম কমেছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
বাজারে দাম কমেছে চায়না রসুনের। চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।
এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।
বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। বোতলের সয়াবিন তেলের পাশাপাশি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুদিন ধরে তেলের দাম বাড়তি। বোতলের সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। পাম অয়েলের দামও কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা বোতলের এক লিটার তেলের গায়ের (লেভেলে লেখা) মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা। আর পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৭৬০ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বাজারে আগের দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। গতসপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।
এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন