প্রথমবার আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। তাসকিন আহমেদের মনে বিষাদের মেঘের আনাগোনা থাকাটা অস্বাভাবিক ছিল না। তবে দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে তিনি উড়িয়ে দিলেন সেই কালো মেঘ। বল হাতে জ্বলে উঠে এনে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঝলমলে এক দিন। ম্যাচে ও সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্সে দলকে জেতানোর পর এই ফাস্ট বোলার দারুণ প্রশংসা আদায় করে নিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছ থেকেও।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে হঠাৎ হানা দিয়েছিল আইপিএল। আইপিএল দল লেক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস থেকে ডাক আসে তাসকিনের। এখন বিশ্বের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের জন্যই যেটি স্বপেড়বর মঞ্চ। তাসকিনও ছিলেন রোমাঞ্চিত। কিন্তু সফরের মাঝপথে তাকে ছাড়তে চায়নি বোর্ড। তাসকিনও দেশের দাবি মেনে নেন সহজেই। এরপর শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে গুঁড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষকে। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেন ৫ উইকেট। প্রায় ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়ে যান তাতে। শেষ নয় সেখানেই। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দারুণ বোলিংয়ে তার শিকার ছিল ৩ উইকেট। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ম্যান অব দ্য সিরিজের ট্রফিও উঠে যায় হাতে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম ইকবালের সামনেই চওড়া হাসিতে ট্রফি দুটি তুলে নেন তাসকিন। তামিম তখন তাকে শোনান প্রেরণার একটি কথা, বাংলাদেশ অধিনায়ক যেটি পরে সবাইকে শোনান ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও, ‘দেশের হয়ে খেলার চেয়ে অনুপ্রেরণার কিছু আর হতে পারে না। আমি জানি, তাসকিন দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল আইপিএল খেলার। ও তরুণ, আসলে কাজটা কঠিন (আইপিএল উপেক্ষা করা)। আপনি এরকম সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। কিন্তু সে এখন ঠিক আছে। সে খুশি যে দেশের হয়ে খেলছে এবং ভালো করছে। যখন সে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজের দুটি ট্রফি পেল, পুরস্কার বিতরণীতে ওকে বলেছিলাম, “দিস ইজ ইওর আইপিএল। এটা আইপিএলের চেয়ে বড়।” সে আমার সঙ্গে একমত হয়েছে এবং খুশি আছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন