শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফরিদপুরে ডায়রিয়ার ভয়াবহত কমেনি পুরো হাসপাতাল ভরা রোগীদের আর্তনাদ

ফরিদপুর জেলাসংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২২, ৫:৫৫ পিএম | আপডেট : ৫:৫৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২২

হাসপাতাল নোংরা এখনও চিকিৎসা হচ্ছে গাাছতলায়।


ফরিদপুর কমেনি ডায়রিয়ার ভয়াবহতা। পুরো হাসপাতাল ভরা রোগীদের আর্তনাদ। গত ৮ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ১০৭২ জন।

এ হিসেব, মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল বেলা দুইটা পর্যন্ত।

ডায়রিয়ায় ওয়ার্ডের ইনচার্জ ষ্টাফ নার্স গোলাপী বেগম এবং সিনিয়র ষ্টাফ নার্স মর্জনা খানম ইনকিলাবকে জানান, ভাই রোজা রেখে রোগীর পিছনে
খাটতে সেবা দিতে আপওি নাই আমার কিন্তু নোংরা মল মূত্র বমি কাশ,পায়খানা পরিস্কার করা ক্লিনার ও আয়ার খুবই অভাব।

এরা আরো জানান,বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বলা ২ টা পর্যন্ত নতুন আরো ৭০ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি ছিল। এবং দুইটা পর্যন্ত নতুন আরো ৯৬ জন ডায়রিয়ায় রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে।

গত ২৭ এপ্রিল, তথা ২৪ ঘন্টা আগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৭ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৮০ জন নারী ৩৩ জন শিশু ৪ জন। এরা উপস্হিত চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরছেন।

সব চেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো ৪০-৫৫ বছর বয়সী পুরুষ এবং ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সি নারীর সংখ্যা বেশী।

এ প্রতিনিধি গতকালের মত ফরিদপুর সদর হাসপাতালের মাত্র এক ঘন্টা সরেজমিন ভিজিট করেন, এ সনয় তিনি দেখতে পান ১০ বেডের ডায়রিয়ায় ওয়ার্ডটিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম পক্ষে ১৫০ জন।

এক বেডে দুইজন করে, বারান্দা- খোলা জায়গায় কোথাও স্বজনদের দাড়ানোর কোন জায়গাই ছিলো না।

গত ৪৮ ঘন্টায় ডায়রিয়ার ভয়াবহতা বৃদ্ধির কারনে পুরো সদর হাসপাতালের পুরো ওয়ার্ডকেই ডায়েরিয়া ওয়ার্ডের আওতায় আনা হয়েছে।

এর মধ্যে, মেইল মেডিসিন,ফিমেল মেডিসিন,মেইল সার্জারি, ফিমেল সার্জারি,ডায়রিয়ায় ওয়ার্ড করা হয়েছে। এরপরও হাসপাতালের নোংরা পরিবেশ থাকার কারনে অনেকেই গাছতলা বসে স্যালাইন নিতে দেখা গেছে।

অপরদিকে, হাসপতালের শিশু ও মেডিসিন ডাক্তারের কক্ষের বারান্দা- ওটির বারান্দা ফ্লোর,পুরো সার্জারি ওয়ার্ড, সার্জারি ফ্লোর বারান্দায় তিল রাখার কোন ফাকা নাই।

রোগী আর স্বজনদের ঠাসাঠাসি, পাশে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর মল মূত্র বমি ও নোংরা ছড়ানো ছিটানো ফ্লোরে মাছি ভন ভন করে উড়ছে। কোন কোন রোগীর মলমূত্রত্যাগ করা মাখানো শরীরের শাতাধিক মাছি পড়ে শরীর জড়িয়ে রাখছে। যেখানে সেখানে নোংরা কাপড় চোপড় পড়ে আছে।

পরিস্কার করা বা একটু ধোয়া মোছার কোন লোক নাই।
এই পচা দুর্গন্ধে রোগীর সাথে আগত স্বজনরা তারও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

ডায়রিয়ার ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স গোলাপী বেগম জানান, রোগীরা যে পরিমান হাসপাতাল নোংরা করছে তাতে ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ৩ জন ক্লিনার ও ৩ জন আয়া দরকার সেখানে ২৪ ঘন্টায় মাত্র ১ জন ক্লিনার ও ১ জন আয়া কাজ করছে আবার এক বেলা করেও না।

এই কারনো পুরো হাসপাতালে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
অপরদিকে, ২০/২৫ মিনিট পর পর বিদ্যুৎ আসে এবং যায়, আবার কখনও ৩০/৪০ মিনিট পরও আসে। এতে ডায়রিয়াশ আক্রান্ত রোগীরা আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে।

পাশা-পাশি স্বজনরা তালের পাখা দিয়ে বাতাস দিতে দিতে তারাও ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। অপরদিকে, ডায়রিয়ায় রোগীদের এমন পরিবেশ পরিধিস্থিততে খাবার পানির
যেটুকু ব্যবস্হা করা হয়েছে তাহা একেবারেই নগণ্য।

ডায়রিয়ার ভয়াবহতা দেখে পুরো হাসপাতালকে
ডায়েরিয়া হাসপাতাল ঘোষনা করছেন কর্তৃপক্ষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন