গফরগাঁও উপজেলায় রেখা আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধূ গোয়ালঘরের ধর্নার সঙ্গে গলায় রশি বেঁধে ফাঁস নিয়েছেন। স্বজনদের দাবি, রেখা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি আগেও কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৭ই মে) ভোর ৬ টায় উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ কুরতলীপাড়া গ্রামে।খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ কুরতলীপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রেখা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। ইতিপূর্বে রেখা আক্তার কয়েকবার ফাঁসিতে ও নিজের গলায় দা ধরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সে জন্য পরিবারের লোকজন তাকে চোখে চোখে রাখত। শুক্রবারও আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার দিবাগত ভোর ৫টা পর্যন্ত রেখা আক্তারকে পাহারা দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে। কিন্তু ভোর ৬টার দিকে সবার অজ্ঞাতে রেখা আক্তার বাড়ির গোয়ালঘরের ধর্নার সঙ্গে গলায় রশি বেঁধে ফাঁস নেন। গোয়ালঘর থেকে গরু বের করতে গিয়ে পরিবারের লোকজন রেখাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার পুলিশ গিয়ে লাশ ধর্না থেকে নিচে নামায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত আলী সরকার বলেন, রেখা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। আগেও তিনি কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সে জন্য পরিবারের লোকজন তাকে রীতিমতো পাহারা দিয়ে রাখত। কিন্তু অভাগা, শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যাই সত্য হলো। গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন