ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর শতভাগ বিদ্যুৎতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা হলেও বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপজেলার ১৩০ টি গ্রামে প্রায় ৬২ হাজার ৮০০ টি সংযোগের মাধ্যমে নাসিরনগরকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর থেকে বর্তমানে তীব্র তাপবদাহ, ভ্যাপসা গরম ও রৌদ্রের প্রখরতার সাথে যেন পাল্লা দিয়ে চলছে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। এ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে হাজার হাজার গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গ্রাহকরা দিনে-রাতে অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না।
উপজেলা সদরের বাইরে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাতে ও দিনে কমপক্ষে ৮/১০ বার লোডশেডিং দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানায়, সন্ধ্যা ৭টায় থেকে কখনো কখনো মাঝ রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থী সহ সকল শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক সময় মৃদু হালকা বৃষ্টির অজুহাতেও ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকে। নাসিরনগরের প্রায় সবকটি ইউনিয়ন থেকে এমন অভিযোগ আসে। রাতেও দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকে না। উপজেলাবাসী অনেকেই পল্লী বিদ্যুতের,ডিজিএম, এজিএমের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তার বদলির দাবি করেছেন। ভুক্তভোগীরা জানায় পল্লী বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর বিষয়ে ডিজিএম,এজিএম কে ফোন করলে তারা গ্রাহকের সাথে খারাপ আচরণ করে। উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়- কর্তৃপক্ষ বলছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উতপাদন না হওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
চলমান লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও মিটার ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল গ্রাহককে জুন মাসে অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হয়েছে। বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে উপজেলা প্রশাসন, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ জরুরি অনেক কাজেও বেগ পেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বন্যা পরিস্থিতি, ডেঙ্গু জ্বর, প্রতিনিয়ত লোডশেডিংয়ে শিক্ষার্থী সহ উপজেলাবাসী চরম দুর্ভোগে জীবন যাপন করছে। এসব সমস্যা থেকে উত্তরনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দাবি জানিয়েছে উপজেলার সর্বসাধারণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন