কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শ্যালিকা হত্যার দায়ে দুলাভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেপ্তারকৃত দুলাভাই নাগেশ্বরী উপজেলার আশকর নগর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আব্দুল গনি। নিহত শ্যালিকা একই গ্রামের বাবু মিয়ার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হাফছা আকতার খুশি।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকালে ওই গ্রামের খুশির নিজ শয়ন কক্ষে। পরে নাগেশ্বরী থানার পুলিশ রাতে মরদেহ উদ্ধার ও দুলাভাই আব্দুল গনিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন সোমবার সকালে নিহত খুশির বাবা বাদি হয়ে আব্দুল গনিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে পুলিশের কাছে এ হত্যার দায় স্বীকার করে গনি।
মামলা সুত্রে জানা যায়, আব্দুল গনির সাথে চলতি মাসের ৪ তারিখে খুশির চাচাতো বোন আঙ্গুয়ারা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে আব্দুল গনি। শ্বশুর বাড়িতে রাতে ঘুমানোর জায়গা না থাকায় খুশি যে বাড়িতে থাকে সে বাড়িতে নববিবাহিত বউ নিয়ে থাকত গনি। এসময় স্বামী স্ত্রীর গোপন অভিসার দেখে ফেলে খুশি। এই রাগে খুশিকে মারপিট করার পরিকল্পনা করে গনি। পরিকল্পনা মোতাবেক রবিবার বিকালে খুশিকে একা পেয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিছানায় ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। পরে বিষয়টি ভিন্নখাতে পরিচালিত করার জন্য খুশির মরদেহ ঘরের ধরনার সাথে ঝুলিয়ে রাখে গনি।
জানা যায় খুশির বাবা ঢাকায় প্লাস্টিকের খারখানায় কাজ করেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনমাস আগে খুশির মা বাবার বাড়ি চলে যান। সেই থেকে আশকর নগর গ্রামের ফুপুর বাড়িতে তিন বোনসহ থাকতো খুশি।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবিউল হাসান জানান, সোমবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল গনিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন