শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শিশু মুনিমের ঘাতক গ্রেফতার

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫৩ পিএম

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের শিশু আব্দুল মুনিম (৪) হিত্যাকান্ডের ৩৬ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা রহস্য উদঘাটন ও মূল হত্যাকারি আমিনুল ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের আনসার আলী প্রমানিকের ছেলে।

শনিবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শরাফত ইসলাম এক প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান, পারিবারিক বিরোধের কারণে শিশু মুনিমকে ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে আমিনুল। এই ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি-না, অধিকতর তদন্তে সেটা বেরিয়ে আসবে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ইট, রক্তমাখা জামা-কাগড় ও দুইটি বাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত বুধবার সকালে ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের বাঁশ ঝাড়ের পাশে একটি টয়লেটের কূপ থেকে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের গলায় রশির দাগ, মাথার পেছনে ও কপালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ক্লু-লেস এ হত্যাকান্ডের পর থেকেই রহস্য উন্মোচনের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশ, সিআইডি, র‌্যাব ও ডিবি। নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন সূত্র ধরে ও কৌশলী তদন্তের মাধ্যমে খুনিকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন সকাল ৮টার দিকে মায়ের কাছ থেকে শিশু আব্দুল মুনিম সিদ্ধ মিষ্টি আলু খেয়ে খেলনা রিকশা নিয়ে বাড়ির বাইরে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলামের বাড়ির টয়লেটের কূপের ভিতর থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন শিশুর পিতা স্কুল শিক্ষক ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য তদন্তে নামে পুলিশের টিম।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনি আমিনুল জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধের জেরধরে শিশু মুনিমকে সে হত্যা করেছে। বাড়ির সামনের ইটের রাস্তার ওপর থেকে খেলনা রিকশাসহ শিশুকে কৌশলে পোস্ট অফিসের দিকে নিয়ে যায় আমিনুল। জনৈক এরশাদের বাড়ির পেছনে গিয়ে টয়লেটের পাশ থেকে একটি অর্ধেক ভাঙা ইট দিয়ে শিশুর মাথার পিছনে আঘাত করে হত্যা করে।এরপর নিহত শিশুর লাশ কোলে নিয়ে পোস্ট মাস্টারের বাড়ির পাশ দিয়ে জাহিদুলের বাড়ির পেছনে যায় খুনি। লাশ গুম করতে রাখা হয় টয়লেটের কূপে। ওই শিশুর পিতা ইদ্রিস আলী ভেবরকুড়ি মিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন