পা
ঋজু রেজওয়ান
সবার মতন নয়
তটস্থ ছিলাম একগাদা ভাই-বোন
মুরগীর ডানার ভেতর।
কখন আসবে বাবা?
গম্ভীর মুখোশ নিয়ে... বিড়ালের পায়ে পায়ে
দুষ্টুমির ঘর ভেঙে দিতে।
ভয়ে মায়ের আঁচলে পৃথিবীকে দেখেছি অবাধ!
কী নীবিড় বোঝাপড়া ছিল হাঁসের সংসার।
কর্মক্লান্ত অফিস ফেরতা এক ভবিষ্যৎ এর
ভরাট দরাজ গলা থেকে
প্রতিদিন পা নামক কবিতাটি শুন-তে... শুন-তে...
কখন যে নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছি একা।
চওড়া কাঁধের দীপ্তিময় শক্ত চোয়ালের মধ্যে!
পাকে এত ভালোবাসতেন!
কোমলগান্ধার মতো নরম আঙুল ফেটে
রক্ত-ঘাম ঝরলেওৃ
শ্মশ্রু-কান্তিময় দেহ টুটাফাটা চপ্পলের ঘ্রাণে
নিজ পায়ে দাঁ-ড়া-তে দাঁ-ড়া-তে
কখন যে সে পা হেঁটে গেল কবরের দিকে
বাবা! ও... বাবা! এখন, আমিও পা কবিতাটি আওড়াচ্ছি।
আমি থাকিনা কোথাও
চঞ্চল মন্ডল
না রৌদ্রস্নাত দুপুরে বাড়ির সিহং দরজায়,
না তৃস্নার্ত পথিকের জলের গ্লাসে।
আমি থাকিনা কোথাও না পড়ন্ত বিকেলে প্রেমিকার খোলা চুলে, না প্রমিকার ভাবনার আয়নায়।
আমি থাকি না কোথাও দম্পতির সন্তান প্রার্থনাতেও থাকিনা, থাকিনা আমার মায়ের চোখের জলে।
আমি এক আগুন্তক আমি হেটে চলি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু, সিন্ধু নদ থেকে আরব ভূমি। আমার বিন্দুমাত্র পিছুটান নেই
নেই তোমাদের মতন উচু মানুষ হওয়ার তাড়না,
আমি যেখানে রাতকে নিজের করে নেই
সেখানে আমার নিদ্রা যাপন শুরু হয়।
তোমারা যেমন মানুষের রক্ত চোষো, মাংস খাও
আমি শুরু অবলীলায় বাস্তবতা গিলি।
আমি জানি একবার ঘর ছাড়লে
আর ঘরে ফেরা হয়না,
আমি ফিরতেও চাই না কখনো।
তবে তোমাদের কাছে একটু অনুরোধ,
যারা ঘরে ফিরতে চায় তাদের ফিরতে দিও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন