বনকচুর যন্তনা
শিমুল হোসেন
আমাগোর একটি গোলাপ বাগান ছিলো
গোলাপের চাষ হইতো
তাতে ফুল ছিলো ভরতি
সুবাস ছিলো পাগল করা
তাতে প্রেমও ছিলো গিন্নি গোলাপির চাহুনির মতন।
মানুষ এখনো গোলাপ বাগান বইলেই জানে কিন্তু... কিন্তু তাতে এখন গোলাপ চাষে নিষেধাজ্ঞা
গোলাপ যত্নে নেই দিনমজুর সুমন্ত দাদাও,
সেখানে এখন কাওরা খোকনরা শুয়োর চরায় বাগান ভইরে ফ্যালাইছে বনকচুর আবাদে। গোলাপ বাগান যারা সাজায়ে-গুছায়ে রাখতো অথবা রাখার যোগ্য আছিলো তারা এখন কেউ কবরে বা কোথাও খবরে কেউ পঁচতেছে আয়না ঘরের দূর্বিসহ আন্ধারে কেউ রইয়েছে বোবা কান্নায় অস্থির। তাতে কী আসে যায়!
কটকটি ডাইনির খালাতো বোন সখিনাও
শিখে গেছে ফুল বাগান কিভাবে দৈত্যে ভরতি হয়, তাজা তাজা ফুলগুলো পায়ে পাড়াতি হয় হাহাকারে কাঁন্দে গোলাপ চাষীরা, বনকচুর যন্তনায়।
আত্ম হনন
অনিন্দ্য আনিস
মাথার উপর ছায়া দেওয়া বটবৃক্ষটা,
আজ অবলীলায়
নিজের সৌন্দর্যে আর যৌবনের দিকে অগ্রসর হলো।
বৃক্ষের নাম বাবার প্রথম গোলাপ ফুল।
আজ যুগোল পাপড়ির ফুটন্ত ফুলগুলো,, ফেলে নীড়ভাঙ্গা পাখিদের মতো দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়!
অসহায় পাখি সব’কেঁদে কেঁদে আকাশের বুকে আশ্রয় খোঁজে।
এক সময় ক্লান্তিতে ডানায় ভরকরে
বিশ্রামের নীড়।
কিন্তু নীল আসমানে কোথাও ঠাঁই হলো না দাঁড়াবার---
সেখানে মাথা গোছার মতো নেই কোনো অট্টালিকা!
আছে জ্বলন্ত অগ্নিগিরি।
খসে পড়লো পালকের পাপড়ি
নির্বিশেষে মুক্তির আশায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন