শরতের শেষ রাতের মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় শণিবার শেষ রাত থেকে সকালের সূর্যোদয় পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের দিগন্ত ঢেকে গিয়েছিল। অথচ আশ্বিনের পর কার্তিক-অগ্রহায়নের হেমন্ত পার করে শীতের আগমনে এখনো তিন মাস বাকি। আর শুক্রবার দুপুরই ১টা থেকে ঘন্টাকালের ভারি বর্ষণে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছিল। শণিবার শেষরাতে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় মেঘনা অববাহিকা ঢেকে যাওয়ায় রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ যোগাযোগও যথেষ্ঠ ব্যাহত হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ থেকে নিন্মচাপ দূর্বল হয়ে স্থলভাগে মিলিয়ে গেলেও তার প্রভাবে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারের সাথে গত কয়েক দিনের ‘মধ্য শরত’র প্রবল বর্ষণে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের ফসলী জমি সহ মাছের ঘের আর গবাদি পশুর বাধানগুলো প্লাবিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শেষের লাগাতর এ বৃষ্টিপাত গত সপ্তাহের ৫টি কর্ম দিবসে বেশীরভাগ মানুষকেই কর্মহীন করে দিলেও শুক্রবারের প্রবল বর্ষণের মাত্র ১২ ঘন্টার মাথায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জন জীবনে ছন্দ পতন ঘটল।
এমনকি আবহাওয়ার এ বিরূপ আচরন জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি রোপা আমনের জন্যও খুব বেশী ভাল সংবাদ বয়ে আনবে না বলে মনে করছেন কৃষিবীদগন। চলতি খরিপ-১ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির অভাবে বীজতলা তৈরী ব্যাহত হবার সাথে ভাদ্রের শেষের পূর্ণিমার প্লাবনে তা নিমজ্জিত হবার মাস ঘোরার আগেই আশি^নের পূর্ণিমায় ভর করে সৃষ্ট আরেকটি লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ার আর প্রবল বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে বিপুল সংখ্যক মাছের ঘের সহ পুকুর ও দীঘির মাছ ।
মন্তব্য করুন