দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় বিটিসিএল থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রায় সোয়াশ কর্মকর্তাÑকর্মচারী গত কয়েক মাস ধরে অবসরকালীন ভাত না পেয়ে অনেকটাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিটিসিএল থেকে বিভিন্ন গ্রেডে বেতনÑভাতা নিয়ে অবসর গ্রহনের পরে এসব কর্মকর্তাÑকর্মচারীর পেনশন সহ সরকারী সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় থেকে অর্থ মন্ত্রনালয় বরাদ্ব চেয়ে চিঠি দেয়ার পরে সেখান থেকে বরাদ্ব পেলে কম্পট্রোলর এন্ড অডিটর জেনারেলের দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা অফিসগুলোতে বরাদ্বপত্র পৌছে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাÑকর্মচারীর ব্যাংক হিসেবে অবসর ভাতা স্থানন্তর হলেই কেবল তারা টাকা তুলতে পারছেন। ততদিনে ৩ মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শূণ্য হাতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত এসব সরকারী কর্মকর্তাÑকর্মচারীকে।
এমনকি গত জুলাই মাস থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বিটিসিএল-এর ১১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাÑকর্মচারীর অবসর ভাতা প্রদানের মত কোন বরাদ্ব নেই। ফলে বিগত ঈদ উল আজহার উৎসব ভাতা সহ গত প্রায় ৩ মাসের অবসর ভাতা পাননি বিটিসিএল-এর ১১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্মচারী। আসন্ন দূর্গাপুজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাÑকর্মচারীরাও উৎসব ভাতা পাবেন কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
ফলে জীবনের সায়াহ্নে এসে সরকারের পদ্ধতিগত জটিলতার শিকার হয়ে অনেকটাই মানবেতর জকীবন যাপন করছেন বিটিসিএল-এর অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তাÑকর্মচারী। এমনকি ইতোমধ্যে জীবনের পাওনা না পেয়েই বিটিসিএল-এর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন এ দুনিয়া ছেড়েও চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বরিশালের বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, একটি পদ্ধতিগত জটিলতার কারণেই সারা দেশে বিটিসিএল-এর হাজার হাজার অবসরাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাÑকর্মচারীর অবসরকারীন ভাতা প্রাপ্তি অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। অর্থ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্ব পেলেই সংশ্লিষ্ট হিসাব নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাÑকর্মচারীদের ব্যাংক হিসেবে অবসর ভাতা জমা হবে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন