গেইলের সামনে পড়ে টেস্ট অভিষেকে প্রথম বলে ছক্কা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে সোহাগ গাজীর। সেই গেইলকেই অভিষেক শিকারে পরিণত করেন সোহাগ গাজী। ৪ বছর আগের সেই ঘটনা মনে আছে আরেক ক্যারিবিয়ান ড্যারেন স্যামীর। জিততে হবে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে। সে কারণেই ট্র্যাম্প কার্ড হিসেবে সেদিন স্যামী বল তুলে দেন অভিষিক্ত আফিফ হোসেন নামের ছেলেটির হাতে। প্রথম ২টি বল ডট, ১৭ বছরের এই বালকের পরের বলে পরিষ্কার বোল্ড হয়ে গেলেন গেইল! এরপর একে একে নেন আরো ৪ উইকেট। টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটের অভিষেকেই ৫ উইকেট, যার মধ্যে আছে গেইলের মহামূল্যাবান উইকেটটিও। অথচ সেদিন নাকি গেইলকে বোলিং করতে এসে নার্ভাস ছিলেন আফিফ। ম্যাচ শেষে সেদিন এমনটিই জানান খুলনার এই তরুণÑ‘গেইলের সামনে বল করতে এসে নার্ভাস ছিলাম। গেইলের মতো ব্যাটসম্যানের উইকেট পাওয়ার পর ভালো লাগছে।’ প্রথম দুটি ডেলিভারিতে বাউন্ডারি খেয়েও সেদিন হতোদ্যম হননি অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সহ-অধিনায়ক। কাছে এসে তাকে সাহস যোগান অধিনায়ক স্যামী এবং বন্ধু ও টিমমেট মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতেই উদ্বুদ্ধ হন আফিফ।
অথচ চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে যে তার অভিষেক হচ্ছে, তা তিনি জানতে পারেন ম্যাচের আগের দিন। তবে অভিষেকে যে এভাবে ইতিহাস রচনা করবেন বোলিংয়ে, এতোটা নিশ্চয় প্রত্যাশা করেননি। কারণ দলের টপ অর্ডার দুর্দশা কাটাতেই দলে নেওয়া হয়েছিল তাকে। অথচ ভেলকি দেখালেন বল হাতে। তাতেই বাজিমাত। টি-২০ অভিষেকে ৫ উইকেটের রেকর্ড। তবে তার আসল পরিচয় ডান হাতি অফ স্পিনার নয়, নিজেকে আফিফ মেলে ধরতে চান বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে। বিকেএসপিতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনুশীলন ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি করায় বিপিএলে খেলার সুযোগ তৈরি হয় আফিফের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন