কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা টেকনোপাড়া ডুবা থেকে একটি নবজাতক উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এরপর সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বাচ্চার মা-বাবার পরিচয়। এদিকে তড়িঘড়ি করে কুড়িয়ে পাওয়া বাচ্চা অন্য এক দম্পতিকে দিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবিষয়ে কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ৮ অক্টোবর তারিখে এবিষয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে বেড়িয়ে আসে বাচ্চার মা-বাবার পরিচয়। টেকনোপাড়া এলাকার লম্পট নিজাম মল্লিকের লালসার শিকার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ৪ অক্টোবর দুপুরে কন্যা সন্তান প্রসব করে। এরপর লম্পট নিজাম মল্লিকের হুমকিতে কন্যা সন্তান পার্শ্ববর্তী ডুবায় নবজাতকে ফেলে চলে যায়। এরপর পাশের বাড়ির এক দম্পতি নবজাতকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ওই দম্পতির কাছ থেকে বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জানা যায় সেই বাচ্চা অন্য এক দম্পতিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে ৭ম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বাবা কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৬, তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২২। ধারা ৯(১), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)। এদিকে জানাজানি হলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ধর্ষক নিজাম মল্লিক(৬৫)। বিভিন্ন হুমকি ধামকি এমনকি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। নিজাম মল্লিক ওই ছাত্রীর সম্পর্কে নানা হয়।
নিজাম মল্লিক দহকুলা টেকনোপাড়া এলাকার জোনাপ মল্লিকের ছেলে।
এদিকে মামলার পর ধর্ষক নিজাম মল্লিকে গত ৯ অক্টোবর রাতেই কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাধীন কন্দর্পদিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২, সিপিসি-১।
ধর্ষক নিজামকে আটকের পর ১০ অক্টোবর বেলা ১২ টার সময় র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নিজাম মল্লিক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিকার করেছেন যে তিনি একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন