বিনোদন ডেস্ক : অভিত্রেী ও পরিচালক আফসানা মিমির সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত বছরের নভেম্বর মাসে রাজধানীর উত্তরার ১২ নং সেক্টরে যাত্রা শুরু হয় ‘বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন একাডেমি’র। এই একাডেমিটি তৈরি হয়েছে স্বপ্ন আর প্রয়োজন থেকে। বাংলাদেশের সিনেমা, বাংলাদেশের নাটক সারা পৃথিবীর মানুষ দেখছে। এদেশের অভিনেতা, নির্মাতা পৃথিবীজুড়ে স্বীকৃতি পাচ্ছেন। এদেশের নির্মাণ, অভিনয়শিল্প বিশ্বমানে পৌঁছেছে। কিন্তু ‘বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনে একাডেমি’ মনে করে বাংলাদেশকে আরো বহুদূর যেতে হবে। তাই প্রয়োজনেই এই একাডেমি প্রতিষ্ঠিত করা। এই একাডেমি সিনেমা, টেলিভিশনের সৃজনশীল কাজকে যারা ভালোবাসেন ও পেশা হিসেবে নিতে চান তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মননশীল ও দক্ষ করে তোলা এবং দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকে। গত শনিবার একাডেমির ‘অ্যাক্টিং ডিপার্টম্যান্ট’র তিন মাস কোর্সের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কোর্স ফাইনাল পারফরম্যান্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে যে দশজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন তারা হলেন-আরিয়ান, হিমন, শাহীনা, সুদেষ্ণা, সজীব, কামাল, মতিন, হামিদ, আরিফ, রাফান। প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেশ উচ্ছ¡সিত আফসানা মিমি। আফসানা মিমি বলেন, ‘তিন মাস শিক্ষার্থীদের জন্য খুব অল্প সময়। নিজেদের আবিষ্কার করতে না করতেই তাদের ক্লাস শেষে হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেছেন তারা। যার মধ্যদিয়ে এই তিন মাসে তারা কতটুকু শিখতে পেরেছেন বা আমরা তাদের কতটুকু এগিয়ে নিতে পারলাম তার একটা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি এবং আমরা বেশ সন্তুষ্ট তাদের পারফরম্যান্সে।’ আফসানা মিমির আমন্ত্রণে যারা এই একাডেমিতে বিভিন্ন সময়ে অভিনয় ও নির্মাণে শিক্ষা দিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন আলী যাকের, রাইসুল ইসলাম আসাদ, আফজাল হোসেন, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শহীদুজ্জামান সেলিম, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, সাদিয়া ইসলাম মৌ, অমিতাভ রেজা চৌধুরী প্রমুখ। নিয়মিত শিক্ষকমন্ডলীর মধ্যে রয়েছেন-মাশরুর রহমান, ড. বিপ্লব বালা, মেহেদী তানজীর, সাইদুর রহমান লিপন, অ্যাডওয়ার্ড ফ্রান্সিস গোমস, শান রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন