জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শীতের তীব্রতা রোধে এবার গরম কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। সকাল থেকে দুপুরে খুব একটা দর্শনার্থী না হলেও বিকেল নামলেই বাড়ে ভিড়। এতে বেড়েছে বেচা কেনা। তবে দাম নিয়ে আগের মতই অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। বেশির ভাগ ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন শেষের দিকে ছাড়ের জন্য। এদিকে প্রতিদিন কাঞ্চন ব্রিজের টোল ঘরে টোল আদায়ে ধীর গতি থাকায় যানজট সমস্যা লেগে থাকে সড়কে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তেমন দর্শনার্থীর দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দলবেধে প্রবেশ করে সাধারণ দর্শনার্থীরা। মেলার ভেতরে থাকা শীতের কাপড়ের দোকানে ভিড়ের পাশাপাশি বিক্রির চিত্র পাওয়া গেছে বেশ। বেশির ভাগ লোকজনই কাশ্মীরি শাল, দেশীয় শীতের কাপড় ক্রয় করছেন। কিছু স্টলে ২টি কিনলে ১টি ফ্রি কিংবা ৩টি কিনলে ১টি ফ্রি ঘোষণা করায় সেসব স্টলে আগ্রহী ক্রেতাদের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়। তবে মেলার অভ্যন্তরীণ খাবারের দাম ও মান নিয়ে ক্রেতাদের বাক বিতÐা করতেও দেখা গেছে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জের বাসিন্দা এক দর্শনার্থী বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য মেলায় আসার একমাত্র সড়ক শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ের ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তির শেষ নেই। আবার মেলার যাওয়ার পথে রূপগঞ্জের মুশুরী থেকে ভক্তবাড়ি পর্যন্ত বেহাল সড়কেও ভোগান্তি রয়েছে। এতো ভোগান্তি পেরিয়ে মেলায় এসেও আশানুরুপ দামে কিছু কিনতে পারছি না। ২টি কাশ্মীরি শাল কিনেই চলে যাচ্ছি।
অপর এক দর্শনার্থী জানান, মেলার এবার শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের জন্য ভালো মানের স্কুল ব্যাগ, শীতের পোষাক ওঠেছে। অফার পেয়ে অনেকেই বেশি বেশি কিনে রাখছেন।
দেখা যায়, মাসব্যাপী মেলায় শীতের কাপড় ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানীর পণ্য সাজানো হয়েছে বিশেষভাবে। শীত বাড়তে শুরু করায় আবারো শীতের কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। মেলায় স্থানীয় তাঁতীদের তৈরী জামদানী, শীতের চাদর, দেশীয় বস্ত্র রয়েছে পর্যাপ্ত।
কাঞ্চনের কেন্দুয়ার এক দর্শনার্থী বলেন, মেলায় শেষ সময়ের দিকে প্রায় সব ব্যবসায়ীরা ছাড় দেয়। আর কিছু কিছু ক্রেতা সেদিনের জন্য অপেক্ষায় থাকে। ফলে ব্যবসায়ীরাও শেষ ১০ দিনে বিক্রির আশায় থাকেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন