শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আজহারের দিনটি ওয়ার্নার-খাজারও

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনেও বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরালো ব্যাটসম্যানরা। প্রথমে আজহার আলী ও সোহেল খানে অসহায় দেখালো অস্ট্রেলীয় বোলারদের। পরে পাকিস্তানি বোলারদের নাকানিচুবানি করে ছাড়লেন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসান খাজা। মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে দুই দল মিলে এদিন তুলেছে ৪১১ রান। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৪৩ রানে পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণার পর মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে ওভার প্রতি ৪.৭৯ গড়ে ২৭৮ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে এদিন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিশতক হাঁকিয়েছেন আজহার। এক পঞ্জিকা বর্ষে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করা একমাত্র পাকিস্তানিও তিনি। গেল অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ৩০২ রানের পর এবার করলেন অপরাজিত ২০৫। প্রথম বিদেশী ওপেনার হিসেবে ঐতিহ্যবাহী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) এই কির্তী গড়েন আজহার। দক্ষিণ আফ্রিকান এডি বারলো (১৯৬৩), ভারতের রবি শাস্ত্রী (১৯৯১) ও শচীন টেন্ডুলকার এবং ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুকের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ডাবল হান্ড্রেড হাঁকানো মাত্র পঞ্চম ব্যাটসম্যানও আজহার। এরপরও একটা আক্ষেপ হয়তো থেকেই যাচ্ছে ৩১ বছর বয়সী এই ওপেনারের। আর ৪ রান করলেই যে বিদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩২ বছর আগে করা উইন্ডিজ গ্রেট ভিভ রিচার্ডসের ২০৮ রানের রেকর্ডটা নিজের করে নিতে পারতেন আজহার। ইনিংস ঘোষণা না করলে হয়তো সেটা পেয়েও যেতেন। লম্বা ইনিংসের পথে তিনি যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন সোহেল খানের সাথে। অষ্টম উইকেটে ১১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ৬৫ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৫ রান করেন সোহেল। আজহারের স্মরণীয় ৩৬৪ বলের ইনিংসে ছিল ২০টি চারের মার।
প্রথম সেশনে আজহারের পর পরের দুই সেশন ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা। দলীয় ৪৬ রানে ম্যাট রেনশোকে (১০) হারানোর পর দু’জনে মিলে গড়েন ১৯৮ রানের জুটি। এমসিজিতে প্রথমবারের মত সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ওয়ার্নার। ওয়াহাব রিয়াজের বাউন্সারে উইকেটের পিছনে সরফরাজ আহমেদের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৪৩ বলে ১৭টি চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ১৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। জন্মভূমির বিপক্ষে ঐতিহাসিক এই মাঠে প্রথম শতকের অপেক্ষায় খাজাও। এজন্য আজ তাকে করতে হবে মাত্র ৫ রান। যতক্ষণে এই রিপোর্ট পড়ছেন ততক্ষণে হয়তো তিন অঙ্ক ছুঁয়েও ফেলেছেন পাকিস্তানে জন্ম নেয়া এই ৩০ বছর বয়সী এই টপঅর্ডার।
সেই ২০০৩ সালে এমসিজিতে দুই দলের দুই ওপেনার শতকের দেখা পেয়েছিলেনÑ ভারতের হয়ে বিরেন্দ্র শেবাগ ও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ম্যাথু হেডেন। প্রথম দুই দিন বৃষ্টিতে ৭৮ ওভার ভেসে যাওয়ার পর কালও বৃষ্টির বাধায় খেলা কম হয়েছে ৭ ওভার, এরপর আবার ব্যাটসম্যানদের এমন আধিপত্য। ফলে অতি নাটকীয় কিছু না হলে ম্যাচ যে ড্রয়ের দিকেই এগুচ্ছে তা বলাই যায়।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ১২৬.৩ ওভারে ৪৪৩/৯ ডিক্লে, (সামি ৯, আজহার ২০৫*, আজম ২৩, ইউনিস ২১, মিসবাহ ১১, শফিক ৫০, সরফরাজ ১০, আমির ২৯, সোহেল ৬৫, ওয়াহাব ১; স্টার্ক ১/১২৫, হ্যাজেলউড ৩/৫০, বার্ড ৩/১১৩, লায়ন ১/১১৫, স্মিথ ০/৯, ম্যাডিনসন ০/১৮)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ৫৮ ওভারে ২৭৮/২ (রেনশ ১০, ওয়ার্নার ১৪৪, খাওয়াজা ৯৫*, স্মিথ ১০*; আমির ০/৪৪, সোহেল ০/৪০, ইয়াসির ১/৯৭, ওয়াহাব ১/৭৭, আজহার ০/১১)। ৩য় দিন শেষে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন