দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) উপজেলা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় মৌসুমের শুরুতেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। বিগত বছরগুলোতে বোরো আবাদ করে আশানুরূপ লাভবান হতে না পেরে দিন দিন এ আবাদ কমিয়ে চাষিরা অন্য ফসল আবাদে ঝুঁকছেন। চলতি মৌসুমেও উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হবার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ কৃষকমহল। জানা গেছে, বেশ ক’বছর ধরে বোরো ধানের আবাদ করে একদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি অপরদিকে ব্যাবসায়ীদের কারসাজিতে কাক্সিক্ষত বাজারদর না পেয়ে এ আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে ভুট্টা, সবজিসহ নানা ফসলের আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন এলাকার চাষীরা। বিগত ২০১০-২০১১ থেকে শুরু করে চলতি মৌসুম পর্যন্ত উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও অর্জনের চিত্রে দেখা গেছে, সাত বছরে উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ কমেছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। বোরো আবাদের এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে ভবিষ্যতে এলাকায় খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেবে বলে মনে করছেন অনেকে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সসম্ভব হবে। এলাকার চাষীরা জানান, বোরো আবাদে কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে সেচ, লাঙ্গলের খরচ ও শ্রমিকের মজুরী। ফলে এ আবাদ করে লাভবান না হতে পেরে ভুট্টা, সবজিসহ অন্যান্য ফসলের আবাদে ঝুঁকছেন। তারা আরোও জানান, বর্তমানে ভেজাল বীজ, সার ও কীটনাশকে এলাকার বাজার সয়লাব। এসব কৃষিপণ্য কিনে কৃষকরা প্রায়ই প্রতারিত হলেও এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের কোন মাথাব্যথা লক্ষ্য করা যায় না। তাই কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে এ খাতের নানা অনিয়ম ও নৈরাজ্য দূর করা দরকার বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন