চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ডাকা মতবিনিময় সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় আদালতে মামলা করেছে নিহতের পরিবার।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে নিহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রুমি আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানান আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকতকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আজ্ঞাতনামা আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বাঁশখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী কফিল উদ্দিন।
কফিল উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের পরদিন নিহত আলীর পরিবার বাঁশখালী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে বাঁশখালী উপজেলার গÐামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় এস আলম গ্রæপের নির্মাণধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকার উন্মুক্ত স্থানে ওই সভা ডাকা হয়েছিল।
তাতে সংঘর্ষে আহত মোহাম্মদ আলী (৩৫) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।
কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ বিরোধিতাকারী স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ ও এস আলম গ্রæপের কর্মীদের সংঘর্ষে গত বছরের ৪ এপ্রিল চারজন নিহত হয়েছিল।
সভায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারী ‘বসতভিটা রক্ষা কমিটির’ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মোস্তফা সংগ্রামের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ায় বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
গÐামার ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী। দুই মেয়ে এক ছেলের জনক আলী সিএনজি অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে শুটকির ব্যবসা করতেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন