স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে তো বটেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই এখন পর্যন্ত কোনো ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট। হালের তামীম, সাকিব, মুশফিকরা যা পারেননি তাই করে দেখালেন অখ্যাত আজমীর আহমেদ। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের সুপার লিগে উদয়াচল ক্লাবের বিপক্ষে এ কীর্তি গড়েন অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এ ওপেনার। ১৬৮ বলে ১৬ চার ও ১৬ ছক্কায় হার না মানা ২২২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন মুন্সিগঞ্জের এ তরুণ।
গতকাল সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে অগ্রণী ব্যাংক। সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ব্যাট হাতে আজমীর। প্রতিপক্ষ দলের শুরুতেই বল হাতে আসেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ভাই মোর্সালিন বিন মর্তুজা। প্রথম বলটা সমীহ করে খেললেও পরের দুই বলে টানা দুইটি চারে নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সূচনা করেন আজমীর। ৫১ বলে হাফসেঞ্চুরি দেখা পাওয়ার পর ১০৮ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন আজমীর পরের ১০০ রান তুলে নেন মাত্র ৫১ বলে! অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে তার রান ছিল ২৪ ও ১৮। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করে ২২২ রান করেন আজমির। তার এই রেকর্ড ইনিংসে ভর করে ৩৮৩ রানের বড় সংগ্রহই পায় অগ্রণী ব্যাংক। জবাবে ইমরানের সেঞ্চুরিতেও (১০২) ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রানেই থামে উদয়াচল। ১৮৬ রানের বড় জয় পায় অগ্রণী ব্যাংক। এই নিয়ে লিগে ১২ ম্যাচে ১০ জয়ে প্রিমিয়ার লিগের দিকে এক পা বাড়িয়েই রেখেছে অগ্রণী ব্যাংক।
ওয়ানডে ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ডাবল সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে মাত্র ছ’বার। প্রথমবার এ কীর্তি গড়েন ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ২০০ রানের ইনিংস খেলেন এ কিংবদন্তী। বাকি পাঁচটির মধ্যে ভারতের আরেক ক্রিকেটার রোহিত শর্মা করেন দুইটি। একটি করে করেছেন ভারতের শেবাগ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল। তবে পুরুষদের আগে নারী ক্রিকেটার ওয়ানডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান। ১৯৯৭ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে ডেনমার্কের বিপক্ষে অপরাজিত ২২৯ রানের ইনিংস খেলেন অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্দা ক্লার্ক।
দিনের অন্য ম্যাচে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে কালিন্দি ক্রীড়া চক্রকে (১১৬/১০) ২০১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় রুপগঞ্জ টাইগার ক্রিকেট ক্লাব (৩২১/৪)। ফতুল্লায় সুর্য তরুণ ক্লাবের (১৯৯/৯) বিপক্ষে ওরিয়েন্ট স্পোর্টিং ক্লাবের (২৪৮/৬) জয়টি ছিল ৪৯ রানের। এছাড়া বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে তৌফিক খান তুষারের সেঞ্চুরিতে (১১৪) শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে (২১৫/৬) ৫ উইকেটে হারায় কাকরাইল বয়েজ ক্লাব (২১৬/৫)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন