স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির কাছে ৪-০ গোলে হারের পর ভালো একটা জবাব দিতে হত বার্সেলোনাকে। ভক্তরাও ছিল সেই আশায়। কিন্তু লেগানেসের বিপক্ষে পরশু লা লিগার ম্যাচে লিওনেল মেসির ৯০তম মিনিটের পেনাল্টিতে তারা ২-১ গোলে জিতেছে ঠিকই কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স বলছিল সেই হতাশা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি কাতালানরা।
নতুনভাবে শুরু করার জন্য ক্যাম্প ন্যুও তাদের উজ্জীবিত করতে পারেনি। উজ্জীবিত করতে পারেনি লুইস সুয়ারেজ ও নেইমারের সহায়তায় মেসির করা মাত্র চতুর্থ মিনিটের গোলও। সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে রক্ষণ আর মাঝমাঠ। মাঝমাঠে যেমন নিজেদের খুঁজে ফিরছিলেন আন্দ্রে গোমেজ, ইভান রাকিটিচ ও রাফিনহোরা তেমনি রক্ষণে জেরার্ড পিকে, স্যামুয়েল উমিতি, জেরেমি ম্যাথিউদের ব্যর্থতা কঠিন পরীক্ষার মুখে ঠেলে দেয় গোলরক্ষক টের-স্টেগেনকে। সবার ভিড়ে একমাত্র তাকেই দেখা গেছে চরম আত্মবিশ্বাসী, ঠিক যেমনটা ছিলেন পিএসজির ম্যাচেও। মেসির জোড়া গোল কাতালানদের গুরুত্বপূর্ণ দুই পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে ঠিকই, তবে বারপোস্টের নিচে স্টেগেনের দৃঢ়তা ছিল তার চেয়েও প্রশংসনীয়। জার্মান গোলরক্ষক প্রমাণ দিয়েছেন ক্লাদিও ব্রাভোর মতো গোলরক্ষকে ছেড়ে বার্সা কেন তাকে দলে রাখল।
তবে ৭০তম মিনিটে হার মানতেই হয় স্টেগেনকে। উনাই লোপেজর গোলে সমতায় ফেরে অবনমনের শঙ্কায় থাকা লেগানেস। প্রিয় দলের এমন পরিণতি দেখতে কারই বা ভালো লাগে। গ্যালারি থেকে তাই ভৎসনার গান ও শীষ শুনতে হয়েছে দলকে। এমনিতেই পিএসজির সেই হতাশার পর এদিন গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতিও ছিল মৌসুমের সর্বনিম্ন। এমন বিরুপ পরিবেশে পেনাল্টি গোলের পর মেসিও উদযাপন করেননি।
এতকিছুর পরও দিনশেষে সবচেয়ে বড় হিসাব হল, চলতি সপ্তায় শীর্ষ চার দলের প্রত্যেকেই নিজ নিজ খেলায় জেতায় পয়েন্ট তালিকায় কোনো পরিবর্তন না আসাটা। যথারীতি ২ ম্যাচ কম খেলে বার্সার চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। দুইয়ে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছনে সেভিয়া। তাদের চেয়ে চার পয়েন্টে পিছিয়ে চারে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন