রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তে জমে পানি দেখে মনে হয় ছোট পুকুর

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে : প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা ওসমানী নগর উপজেলার এলজিইডির আওতাধীন অধিকাংশ পাকা সড়ক বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সংস্কার করার কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি দিলে পানি জমে ছোট পুকুরের মতো দেখায়। সীমাহীন সমস্যায় এলাকার মানুষ পড়লেও অজানা কারণে এর সমাধান হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহল দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়ে এলেও তা উপেক্ষিত রয়েছে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে প্রবাসীরা তাদের সন্তান নিয়ে দেশে আসতে চান না। এতে দেশের প্রতি তাদের যে টান তা ক্রমে হ্রাস পচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলজিইডির আওতাধীন গোয়ালাবাজার-ইলাশপুর (বালাগঞ্জ), তেরহাতি-সিকন্দরপুর-উমরপুর বাজার সড়ক, সিকন্দরপুর-হামতনপুর-মোল্লাপাড়া সড়ক, লাশা হিজল শাহ-খাদিমপুর সড়ক, খসরুপুর-আদমপুর সড়ক, খসরুপুর বাজার জিসি পৈলনপুর-বালাগঞ্জ সড়ক, কাগজপুর বাজার-বড় হাজীপুর-বুরুঙ্গা ইউপি সড়ক, সাদীপুর শাহ তাজ উদ্দীন (র.) মাজার সড়ক, বুরুঙ্গা-পশ্চিম সিরাজনগর, পশ্চিম তিলাপাড়া-আনোয়ারপুর সড়ক, সিরাজনগর-আনোয়ারপুর সড়ক, তিলাপাড়া-শাহী ঈদগা-আনোয়ারপুর সড়ক, করনসী-জহিরপুর-কলারাই বাজার সড়ক, তাজপুর-চর ইসবপুর-মান্দারুকা সড়ক, তাজপুর-কাদিপুর সড়ক, কাশিপাড়া-চান্দাইরপাড়া-নশিরপুর-বুরুঙ্গাবাজার সড়ক, তাজপুর-ছুরতপুর সড়ক, পাঁচপাড়া-দশহাল-চান্দাইরপাড়া সড়ক, থানাগাঁও-মাদরাসা মার্কেট-দয়ামীর সড়ক, পাঁচপাড়া-জমিরগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং ও বিটুমিন উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। যে কারণে এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সড়কের বেহাল দশার কারণে ছোট-ছোট যানবাহন উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে একদিকে ঘটছে মানুষের অঙ্গহানি, অন্যদিকে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্বল্পআয়ের যানবাহন মালিকরা। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা এ রাস্তাগুলো সংস্কারের প্রতিশ্রæতি দিলেও নির্বাচনের পরে আর কেউই খোঁজ রাখেন না। একাধিক এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নেতা আসে নেতা যায়, কিন্তু এ রাস্তা সংস্কার হয় না। বর্ষা মৌসুমে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। হাঁটু সমান কাদামাটি পেরিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয় তাদেরকে। তবুও খানাখন্দে ভরা এ রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যাতায়াতের রাস্তা খানাখন্দের কারণে বর্ষা মৌসুমে স্কুল-কলেজের উপস্থিতি কমে যায়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় এসব এলাকার রোগীদের নিয়ে। সড়কগুলো সংস্কার করে জনগণের দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা যথাক্রমে, ইমরান রব্বানী, মো. আবদুর রব, আতাউর রহমান, মো. গোলাম কিবরিয়া ও এমজি রাসুল খালেক অধিকাংশ সড়কের বেহাল অবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, সড়কগুলোর সংস্কারের ব্যাপারে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় বহুবার দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে মৌখিক ও লিখিত আবেদন করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে এসব সড়ক সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোবারক হোসেন বলেন, সংস্কারহীন সড়কের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, আগামী অর্থবছরে এসব সড়ক সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কার করা হয়েছে, কয়েকটি সড়কে সংস্কার কাজ চলছে এবং কয়েকটি সড়ক সংস্কারের প্রক্রিয়াধীন। পর্যায়ক্রমে সব সড়ক সংস্কার করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন