ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে খুব শীঘ্রই। এ নিয়ে শহরের আনাচে কানাচে গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি বিহীন ফরিদপুর জেলা বিএনপির কার্যক্রম চলছে। ফরিদপুরের বিএনপিকে বর্তমানে টিকিয়ে রাখছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল। তার মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অবদান শীর্ষে। মূল দল জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকার দলীয় নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এবং কিছু নেতাকর্মীরা বিশেষ সুযোগ সুবিধা নিয়ে দল ত্যাগ করেছে। ধীরে ধীরে দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছে স্বেচ্ছাসেবক, যুবদল ও ছাত্রদল। তার মধ্যে বেশীরভাগ নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের শিকার, অনেক নেতাকর্মীরা ফরিদপুর জেলা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। শুধুমাত্র জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই। এ বিষয়ে একাধিক বিএনপির প্রবীন নেতারা জানান, ফরিদপুরের বিএনপি নেই আছে আওয়ামী বিএনপি। ফরিদপুরের বিএনপির রাজনীতি নষ্ট করে দিয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া নিজ স্বার্থের জন্য। দল এখন পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তারা বলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদারেরস আলী ইছা অথবা কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা মাহবুবুল হাসান পিংকুকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হোক অপর দিকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হোক যুবদলের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আফজাল হোসেন খান পলাশ অথবা সাবেক ছাত্র নেতা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলকে। এই সাবেক নেতারাই নব্বই-এর গণ আন্দোলনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে ফরিদপুরের মাঠ গরম রেখে ছিলেন। তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ৮০ ভাগ নেতাকর্মীরাই উপরোক্ত নেতাদের নিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপি কমিটি করার আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন