স্টাফ রিপোর্টার : মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, নারী ও পুরুষের মধ্যে বঞ্চনার ভাগটা সবসময় নারীদের ভাগেই থাকে। সংগ্রাম নারী পুরুষ উভয়কে করতে হয়। কিন্তু পুরুষদের পথটা মসৃন আর নারীদের পথটা অনেক বেশি কঠিন। পরনির্ভরশীলতাকে ঘৃণা করতে হবে। কারো উপর নির্ভরশীল হতে আমরা চাই না। আমরা নারীরা নিজে বড় হবো, দশজনকে সাহায্য করবো। এভাবেই আমাদের তৈরি করতে হবে। অন্যের কাছে এখন আর সাহায্য সহযোগিতা চাইনা। নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রধান জয়ীতা। এদেশের নারীদের স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলতে আড়াইশ’ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নারীবান্ধব উদ্যোগের কারণে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের ফলে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের নারীর উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়ন নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শ্রেষ্ঠ জয়ীতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। অষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিন, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক বেগম সাহিন আহমেদ চৌধুরী। ঢাকা বিভাগে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জয়ীতা নির্বাচন করা হয়েছে। চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়ীতারা হলেন ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্যাটাগরিতে নরসিংদীর ‘বৃষ্টি’। শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ধামরাইয়ের আমিনা ফাহমিদা খানম, ‘সফল জননী’ ক্যাটাগরিতে টাঙ্গাইলের মোছা. রওশনারা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সাভারের ফিরোজা খাতুন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সাভারের কোহিনুর আক্তার জুঁই। প্রত্যেককে সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিভাগের কমিশনার হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, জয়ীতা একজন সফল নারীর মূর্তপ্রতিচ্ছবি। বাংলার অজেয় নারী তথা জয়ীতারা এখন বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন