শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

উপকৃত হলো ৫ ইউনিয়নের মানুষ নির্ভরতা কমলো ভ‚গর্ভস্থ পানিতে

লোহাগড়ায় সমতল ভ‚মিতে খাল খনন

| প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


নড়াইল জেলা সংবাদদাতা : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম এলাকায় সমতল ভ‚মিতে খাল খনন করায় ৫টি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। এতে এলাকার অন্তত ২০ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছে। এছাড়া গভীর নলকূপের ওপর নির্ভরশীলতা কমেছে। ধান ও সবজি উৎপাদন এবং পাট জাগ দেয়াসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে এ খালের পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে খালটি খনন করা হয়েছে। এর ফলে উপজেলার নোয়াগ্রাম, লাহুড়িয়া, নলদী, জয়পুর ও কাশিপুর ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। এই পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ১২ কিলোমিটার বিলের কৃষি জমিতে সেচ এবং পানি নিষ্কাষন সুবিধা পাবেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে লোহাগড়ার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুখোলা-সুলটিয়া খালটি প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়েছে। খালের দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার, প্রস্থ ৬০ ফুট ও গভীরতা ১২ ফুট। কাজটি চলতি বছরের মে মাসের প্রথম দিকে শুরু হয়ে ২০ জুনের মধ্যে শেষ হয়েছে। খালটি নবগঙ্গা নদীর ধোপাদাহ এলাকায় মিলিত হয়েছে। নামকরণ করা হয়েছে ‘দোদাঁড়িয়া খাল’। নোয়াগ্রামের হারুন মোল্যা জানান, এলাকাবাসি স্বেচ্ছায় জমিদানের মধ্য দিয়ে দোদাঁড়িয়া খাল খনন করা হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক উপকৃত হবেন। একই এলাকার সৈয়দ তসলিম উদ্দিন বলেন, এতোদিন এলাকার কৃষকেরা গভীর নলকূল থেকে পানি উত্তোলন করে ফসল ফলাত, এতে উৎপাদন খরচ বেশি হতো। খরা মওসুমে সেচ পাম্পে প্রয়োজন মতো পানি না পাওয়ায় অনেক জমি অনাবাদী পড়ে থাকত। এখন খালে পানি পাওয়ায় সেচ সমস্যার সমাধান হয়েছে। শুলটিয়া গ্রামের শাহ নেওয়াজ হোসেন বলেন, খাল খননের আগে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। এতে ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াসহ সময়ের অপচয় হতো। এ বছর আমরা এই খালে সহজে পাট জাগ দিতে পারব। এছাড়া এ বছর আগাম বৃষ্টি হওয়ায় খালে পুটি, টেংরা, কৈ, শিং, টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট দেশী মাছ দেখা যাচ্ছে। নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) আহাদ শেখ বলেন, খাল খননে পাঁচ ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রামের ২০ হাজার কৃষকের উপকার হয়েছে। এলাকাবাসির যাতায়াতের সুবিধার্থে খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। নড়াইলের ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, খননকৃত মাটি দিয়ে খালপাড়ে কৃষকদের চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাল পাড়ে তাল গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে তালগাছ লাগানো খুবই জরুরী বলে জানান তিনি। এছাড়া বিগত অর্থবছরে বরাদ্দকৃত গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পে ২২৫টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৪৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার কাজ ও সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্পে ১১০টি প্রকল্পের বিপরীতে ১০ কোটি ৬৮ হাজার টাকার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
S. Anwar ১২ আগস্ট, ২০১৭, ১০:২৩ এএম says : 0
ভারত তার শয়তানী ষড়যন্ত্রে ফারাক্কায় পানি আটকে রেখে বাংলদেশে যখন মরুকরণ ও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছিলো ঠিক সেই সময়ে জিয়ার মাথায় এলো এই খাল-কাটার সুবুদ্ধি। জিয়াই প্রথম এদেশে "কাজের বিনিময়ে খাদ্য" কর্মসুচীর মাধ্যমে খাল-কাটার সুচনা করেন এবং এতে জনগন ব্যাপক সাড়া দেয়। জিয়ার সেই খাল-কাটাতে দেশ ও মানুষের ব্যাপক উপকার হয় এবং আজো হচ্ছে। সত্যি জিয়া ছিলেন এদেশের মাটি ও মানুষের একজন পরম দরদী বন্ধু। জিয়াই সেই ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্র-ক্ষমতায় এসে পুর্বে বিশ্বের কাছে "তলাবিহীন ঝুড়ি" বলে খ্যাত এই বাংলাদেশকে খাদ্য-শস্যে পরিপুর্ণ ঝুড়িতে পরিনত করেছিলেন এবং বিশ্বের অঙ্গনে বিশেষ করে আরবসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে অত্যন্ত সন্মান জনক আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন এই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন