বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড়, আবাহনী ও মোহামেডানের এক সময়ের মাঠ কাঁপানো ফুটবলার এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের পিতা শামসুল ইসলাম মোল্লা আর নেই। তার করুন মৃত্যু ঘটেছে। গতকাল (রোববার) আনুমানিক দুপুর ১২টার সময় রাজশাহীর সাগরপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসলরত অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মরহুম শামসুল ইসলাম মোল্লা মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আতœীয়-স্বজন এবং গুনগ্রাহী রেখে যান। কাল বাদ এশা রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়ে জানাজা শেষে টিকাপাড়া কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকালও সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শামসু পুকুরে গোসল করতে যান। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় তাকে খুঁজতে যান স্বজনরা। পরে তার সন্ধান না পেয়ে খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে শামসল ইসলামের নিথর দেহ।
মরহুম শাসুল ইসলাম মোল্লা ষাটের দশকে মাঠ কাঁপানো ফুটবলার ছিলেন। ষাট ও সত্তরের দশকে ঢাকা লিগে মোহামেডান ও আবাহনীর হয়ে নিয়মিত খেলছেন তিনি। সেই সময় শামসু নামেই সবাই তাকে চিনতেন।
ষাটের দশকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া দ্বিতীয় খেলোয়াড় ছিলেন শামসুল ইসলাম মোল্লা। পাকিস্তান যুবদলের হয়ে তিনি ১৯৬৫ সালে রাশিয়ায়ও খেলতে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের আহŸানে সাড়া দিয়ে আবাহনী ফুটবল দলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে সফল মিডফিল্ডার হিসেবে আবাহনীকে মূল্যবান জয় এনে দিয়ে সবার নজর কাড়েন। ওই সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবলকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তোলেন খ্যাতিমান এই ফুটবলার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে ঢাকা স্টেডিয়ামের মাঠে ঝড় তুলতেন পাইলটের বাবা শামসুল ইসলাম মোল্লা।
তার করুন মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ফুটবল ফেডারেশনসহ অসংখ্য ক্রীড়া সংগঠনসহ রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারসহ অন্যরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন