বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ম দর্শন

জিজ্ঞাসার জবাব

প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

১। মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাফওয়ান শাহাপুর কুমিল্লা।
জিজ্ঞাসা : মাতৃ জঠরে ভ্রুণের পরিবর্তন ও রূপান্তর হয় কি?
জবাব : এ সম্পর্কে শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভী (রহ.) বলেছেন : এ সময়ে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ও রূপগ্রহণ চলতে থাকে। হঠাৎ এক সাথে সব গড়ে যায় না। প্রত্যেকটি স্তরের পরিবর্তিত রূপ পূর্বস্তর থেকে ভিন্নতর হয়। যে অবস্থাটি রক্তের মতো ক্ষিপ্রতা নিয়ে সঞ্চালিত হয় না সেটাকে ‘নোত্্ফা’ বলে। যে অবস্থায় দুর্বলভাবে হলেও জমাটবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সেটাকে ‘আলাকা’ বলে। পরবর্তী স্তরে যখন মজবুত জমাটবদ্ধতা সৃষ্টি হয় তখন তার নাম হয় ‘মুযগাহ’। অবশ্য এ স্তরে নরম নরম হাড় সৃষ্টি হয়। যেমন যখন কোনো খেজুরের বিচি মাটিতে ফেলা হয়, তখন তার অঙ্কুরোদগমের জন্যে নির্দিষ্ট একটি সময় থাকে। যে ব্যক্তি খেজুরের বিচি থেকে অংকুরোদগম ঘটিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, সে জানে, কখন কোন মাটিতে কিরূপ পানি সিঞ্চনে তা ঘটে থাকে। তাই সে বলতে পারে কোন বিচিতে কিরূপ গাছ ধরবে কি ধরবে না।
তেমনি আল্লাহতায়ালা কিছু ফেরেশতাকে বাচ্চাদের অবস্থা তাদের স্বভাবের গতিপ্রকৃতিসহ জানার কিছুটা ক্ষমতা দিয়েছেন। তারা জানতে পায়, কোন বাচ্চাটি কিরূপ স্বভাব নিয়ে জন্ম নিচ্ছে।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, তার ঠাঁই দোজখে হবে না বেহেশতে হবে তা লেখা হয়নি।
তিনি আরও বলেছেন : প্রতিটি মানুষের ভেতরে সাফল্য ও বিচ্যুতি রয়েছে, যার জন্যে সে ছাওয়াব ও আজাব দুটোই পাবে। হয়তো হাদিসের এ অর্থও হতে পারে যে, কারো স্থান দোজখে হবে, কারো স্থান বেহেশতে হবে।
আল্লাহতায়ালা বলেন : “যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের প্রতিশ্রুতি দিলেন,” এ আয়াত উপরোক্ত হাদিসের পরিপন্থী নয়। “অতঃপর তিনি তাঁর ডান হাত আদমের পিঠে বুলালেন। তার থেকে তার সন্তানদের বের করলেন।”  এসবের তাৎপর্য এই যে, হযরত আদম (আ.) থেকে তাঁর সন্তানদের এবং সেই সন্তানদের থেকে তাদের সন্তানদের ও এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত আদম সন্তানদের অস্তিত্ব লাভের ধারা অব্যাহত থাকবে। মূলত কোরআন মজিদে কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন এবং হাদিসে তার উপসংহার টানা হয়েছে।
আল্লাহপাক বলেন, ‘যে ব্যক্তি দান করল ও তাকওয়া গ্রহণ করল এবং ভালো কাজকে স্বীকৃতি দিল’ অর্থাৎ আমার জানা ও ধারণামতে যারা এসব গুণের অধিকারী হলো, তাদের জন্যে দুনিয়ায় এসব কাজ করা সহজ করে দেব। আয়াতের এ ব্যাখ্যার সাথে হাদিসের বক্তব্যের সামঞ্জস্য সৃষ্টি হয়।   
উত্তর দিচ্ছেন : মোহাম্মদ খায়রুল বাশার (মানিক)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন