রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সীমান্তে গরু-মহিষের পদপিষ্টে শত শত বিঘা জমির ফসল নষ্ট

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নওগাঁ থেকে এমদাদুৃল হক সুমন : নওগাঁর সাপাহার উপজেলার করমুডাঙ্গা সীমান্তে বেড়েই চলেছে চোরাকারবারীদের আনাগোনা। অবৈধভাবে রাতের আধারে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে গরু-মহিষ নিয়ে আসায় ক্ষতি হচ্ছে স্থানীয় কৃষকের মাঠের ফসল। এতে শতাধিক কৃষকের কয়েক শ বিঘা জমির সরিষা, আলু ও ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সীমান্ত রক্ষাকারী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরব ভুমিকা পালন করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানা গেছে, বন্যায় ওই এলাকার কৃষকদের আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে উপজেলার কৃষকগণ উপজেলায় চলতি বছরে ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা, আলু ও ধানের বীজতলা তৈরী করেছে। ফসলও ভালো হয়েছে। কিন্তু চোরাই পথে অবৈধভাবে প্রতি রাতে ভারত থেকে গরু-মহিষ আনায় সীমান্ত এলাকার জমিতে ফসলগুলো নষ্ট হচ্ছে। এতে উপজেলায় সরিষা ও আলু আবাদ উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় পাশাপাশি কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্খা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে করমুডাঙ্গা (বিওপি) বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে।
করমুডাঙ্গা গ্রামের কৃষক শাহিন আলম, সোলাইমান আলী, সাইদুর রহমান, আব্দুর রশিদ, আফজাল হোসেন, মামুন হোসেন, কছিমুদ্দীন, জালাল উদ্দীন, হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, বিজিবি সদস্যদের বিষয়টি জানানো হলে তারা আমাদেরকেই ফসল রক্ষা করতে বলেন। ফসল রক্ষার জন্য রাতে মাঠে পাহারা দিতে গেলে টহলরত বিজিবি সদস্যরা আবার ধমক দেয়। স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা ফসল রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন কৃষকরা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল মিঞা বলেন, প্রতিনিয়ত ওই সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীরা রাতের আধারে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসছে। ফলে স্থানীয় কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। কৃষকদের মাঠের ফসল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
স্থানীয় বিজিবি করমুডাঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, এ ক্যাম্পের সীমানা মেইল পিলার ২৩৭ থেকে ২৪১ পিলারে ৯ কিলোমিটার। আমাদের ক্যাম্পে বিজিবি সদস্য ২০ জন। প্রতিদিন নিয়ম করে ১২ জন টহল দেয়। ফসল ক্ষতির বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। এমাসে ৩০টি গরু আটক করেছি। আমাদের জনবল সংকট, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সহযোগীতা না পাওয়া। চোরাকারবারীদের সাথে যারা জড়িত তারা অবশ্যই স্থাণীয়। চোরাকারবারীদের সংখ্যা গুটি কয়েক। কিন্তু এলাকাবাসীতো অনেক।
তিনি বলেন, রাতে টহলের সময় কোন পিলারের দিকে আমরা যাচ্ছি তা চোরাকারবারীদের ফোন করে জানিয়ে দেয় স্থাণীয়রা। ফলে তাদের আটক করাও সম্ভব হয়না। সীমান্ত এলাকাগুলোতে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। জমির আইল এতো ছোট যে হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর। আবার চোরাকারবারীদের কোন তথ্য পেলে দ্রæত সেখানে যাওয়াও সম্ভব হয়না। যদি কোন বিজিবি সদস্য চোরাকারবারীদের সাথে সম্পৃক্ত সাথে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজিবি-১৪ পতœীতলা অধিনায়ক লে: কর্ণেল ইঞ্জিনিয়ার খিজির খান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন