বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের হাঁড়েল খালের সরকারি গাছ কর্তনে প্রতিযোগিতা

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মাগুরা জেলা সংবাদদাতা : মাগুরার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের খাটর রামানন্দকাটি গ্রামের সুই তলা পাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হাঁড়েল খালের দু-পাশের সরকারি গাছ কর্তনের মহৎসব শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় শতাধিক গাছ কর্তন করা হয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য লক্ষাধিক টাকা। গত শনিবারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরকারি গাছ কর্তনের বাস্তব চিত্র। খালের দু-পাশ থেকে ৩৩টি বড় মোটা বাবলা গাছ , খয়েবাবলা ২টি, ভুতনীম ১টি,খেজুর গাছ ১৭টিসহ মোট শতাধিক গাছ কর্তন করা হয়েছে। এসব গাছ কেটে ঢাকা মেট্র-ট-১৪৯১৭৭ নং ট্রাকে তুলে নিতে দেখা যায়। গাছ কোথায় যাচ্ছে ড্রাইভার শ্যামল কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছগুলো পশ্চিমা গ্রামের মৃত হাকিম বিশ্বাসের ছেলে সাক্কার বিশ্বাসের নিকট বিক্রি হয়েছে। গাছ কোথায় যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব গাছ মেহেরপুর ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঐ এলাকার তুষার,বিল্লাল, ফসিয়ার, শামিম, বাকু,হাকিমসহ আরো অনেকেই জানায়, মৃত মিরজান মোল্যার পুত্র আজম মোল্যা,মহন মোল্যা ও একই এলাকার নুরোল মোল্যার পুত্র বদর মোল্যা ও জাহিদ মোল্যা এসব গাছ দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে কেটে বিক্রি করেছেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত বদর মোল্যার বাড়ী গিয়ে কাউকে না পেলেও তার ছোট ভাই বুলবুল মোল্যার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমার বড় ভাই বদর মোল্যাসহ কয়েকজন এই গাছ গুলো বিক্রি করেছে। অপর অভিযুক্ত মহন মাষ্টারের বাড়ী গিয়ে তাকে না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, গাছ গুলো আমি বিক্রি করেনি তবে আমার ভাই আজম মোল্যা বিক্রি করতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ এই খালের পাশ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কটে বিক্রি করা হয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। তারা ভয়ে কিছু বলতে পারেনা বলে জানান। এব্যাপারে ঐ গ্রামের ইউপি সদস্য লিটনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যারা সরকারি গাছ কাটছে তারা তার আত্মীয় স্বজন। এব্যাপারে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন