পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথের ১০টি পয়েন্টে অরক্ষিত লেভেল রেল ক্রসিং বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এ রেলক্রসিংএ প্রায় সময় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। রেলক্রসিং গুলোর মধ্যে রয়েছে গোমদÐী রেলস্টেশনের পরে উপজেলা সড়ক, বেঙ্গুরা রেলস্টেশন এরপরে সারোয়াতলী সড়ক, ধলঘাট রেল স্টেশনের পরে ধলঘাট ক্যাম্প, চরকানাই সড়ক। খানমোহনা স্টেশনের আগে পটিয়া-বোয়ালখালী সড়ক, পটিয়া স্টেশনের পরে বাহুলী পৌরসভা সড়ক, চক্রশালা স্টেশনের আগে গিরিশ চৌধুরী বাজারস্থ পারিগ্রাম সড়ক, খরনা রেল স্টেশনের নিকট ইউপি সড়ক, কাঞ্চননগর রেলস্টেশনের আগে শাহছুপি সড়ক, খানহাট স্টেশনের পরে ছৈয়দাবাদ সড়ক, হাসিমপুর স্টেশনের পরে বাগিচাহাট সড়ক। চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথের উল্লিখিত সড়কগুলোতে লেভেল রেলক্রসিংয়ে কোনো ধরনের গেটম্যান নেই। রেলক্রসিংয়ের দুইপার্শ্বে দুইটি সাইনবোর্ড দিয়ে লেখা হয়েছে ‘সাবধান, এই গেটে কোনো গেটম্যান নেই, পথচারী ও সকল প্রকার যানবাহনের চালক নিজ দায়িত্বে পারাপার করিবেন, যে কোনোরূপ দুর্ঘটনা ঘটার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নিজে বাধ্য থাকিবেন’। এই সাইনবোর্ড দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। এ লেভেল রেল ক্রসিং দিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গত ডিসেম্বর মাসে চক্রশালা রেল স্টেশনের আগে পারিগ্রাম এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেনের সাথে একটি বালুবাহী ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগলে ট্রাকের চালক হেলপার ও ট্রেনের ২০ জন যাত্রী আহত হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন স¤প্রসারণের জন্য ১৩ শ’ কোটি টাকা একনেকে অনুমোদন হয়েছে। সে টাকা থেকে ইতোমধ্যে সাত শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের টাকায় কাজ চলছে ধীর গতিতে। এদিকে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথে ট্রেন কমিয়ে দেয়ায় একটি ট্রেন আপ-ডাউন হচ্ছে। মাঝেমধ্যে কাঞ্চননগর রেলওয়ে ওয়ার্কসপের মালবাহী ট্রেন ও ফার্নেস ওয়েলবাহী ট্রেন চলাচল করে থাকে। যার ফলে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথ এখন অবহেলার শিকার। সে সাথে লেভেল রেল ক্রসিংগুলোর প্রতি রেল কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই। এ রেলপথে লেভেল রেলক্রসিং এ গেটম্যান দিয়ে আরো দুটি ট্রেন বাড়িয়ে দিলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিসহ দুর্ঘটনা বোধ হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল পথের রেলযাত্রীরা সরকার ও রেল কর্তৃপক্ষের শুভ দৃষ্টি কামনা করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন