রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ঝুঁকিতে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান

ভোলার শিবপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ভোলা থেকে এম এ বারী : নড়বড়ে খুটি। যে কোন সময় হেলে পরতে পারে। বর্ষার সময় টিনের চালা দিয়ে পানি পরে। পানিতে সয়লাব হযে যায় মেঝে, অনেক সময় ভিজে যায় বই খাতা। ঝড় আসলে চালা উড়িয়ে নিতে পারে যেকোন সময়ে। ঝড় বাদলের দিনে ক্লাস করতে হয় আলো জ্বালিয়ে। অনেক সময় ঝড় বাদল বেশি হলে বন্ধ রাখতে হয় ক্লাশ। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের অনেকাংশ ভেঙ্গে গেছে। যে কোন সময় বিদ্যালয়টি হেলে পড়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আবার গরমের সময় অতিরিক্ত তাপের কারনে ঘামে ভিজে জবজবে হতে হয় শিক্ষার্থীদের। যার ফলে পড়ালেখায় সাময়িক বিঘœতা সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এরকম নানা সমস্যায় জড়জড়িত ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝূঁকিপূর্ণ টিনসেট ভবনে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাস করছে।
২০১৮ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলটি থেকে ৫২জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করবে। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষায় ৮০জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে ৭৮জন পাশ করেছে। লেখাপড়ার ফলাফল ভাল হলেও ভবন সংকটের কারনে পাঠদানে হিমশিম খেতে হয় শিক্ষার্থীদের।
১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, আমাদের এই বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জড়জড়িত। এখানে আমাদের অনেক ঝূকি নিয়ে পাঠদান করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে আমাদের ক্লাস করতে ব্যাপক অসুবিধা হয়। বিদ্যালয়টি অনেক পুরানো হওয়ায় বৃষ্টি হলে পানি পড়ে আমাদের ক্লাশ ভিজে যায়। সুমাইয়া আরও বলেন, ঝড়ে সময় আমরা আতঙ্কে থাকি। যে কোন সময় বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে আমাদের বিদ্যালয়ের অনেকাংশ ভেড়ে পড়েছে।
শিবপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার বলেন, টিনের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষা মৌসুম আসলে আমরা ক্লাশ করতে হিমশিম খাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়টি জড়াজীর্ণ হওয়ায় বৃষ্টিতে ক্লাস রুম ভিজে যায়। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে পাঠদান করতে পারে না। তাই বই-খাতা ভিজে যায়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির উপদেষ্টা সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, আমার ভাই শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম ইব্রাহিম মিয়া তৎকালীন সময়ে শিবপুর ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে তার একান্ত প্রচেষ্টায় শিবপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় একটি টিনসেট ভবন নির্মান করা হয়। পুরানো এই টিনসেট ভবনটি এখন ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই ঝূঁকিপূর্ণ ভবনেই প্রায় ৫ শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী জীবনের ঝূঁকি নিয়ে পড়ালেখা করে যাচ্ছে। তবে ঝড়ো বৃষ্টি হলে যে কোন সময় বিদ্যালয়টি ভেঙে পড়তে পারে। তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ইতিপূর্বে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে অবকাঠামোগত উন্নয়নের আশ্বাস দেন। সরকারের কাছে এই ঝূঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়টি দ্রæত মেরামত করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন