সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সৈয়দ জুনাঈদ মো. হাবিব উল্লাহ : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার রাস্তায় যেসব খাবার তৈরি ও বিক্রি হয়, তার বিশুদ্ধ, নিরাপদ ও স্বস্থ্য সম্মত নয়। বরং তাতে রয়েছে ভয়ঙ্কর জীবাণু। যার কারণে ভয়াবহ হুমকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। প্রায় ৯০ শতাংশ খাবারেই রয়েছে এ ভয়ঙ্কর জীবাণু। এসব খাবারে রয়েছে সিঙ্গারা, সমুচা, চুলা, ভাজি, বেগুনি, আলুচপ, ডালপুরি, ফুঁচকা, চটপটি, হালিম, ঝালমুড়ি, জিলাপি, লেবুর শরবত, আঁখের রশ, স্যুপ, পেঁয়াজু, নুডুলস, চা, কফি, পাওরুটিসহ নানা রকম মিষ্টান্ন খাবার। এসব খাবারের দোকান খোলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত অবস্থায় তৈরি। এসব খাবার বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। মিষ্টি ও তৈলাক্ত হওয়ায় এসব খাবার পোকামাকড় ও ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে। রাস্তার এসব খাবারে পুষ্টিগুণ থাকে অতি সামান্য এবং শরীরে ক্ষতির প্রভাব থাকে অনেক বেশি। এসব খাবারের ক্রেতা হচ্ছে শিশু, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, রিকশা চালক, ছিন্নমূল মানুষ, শ্রমিক, গরিব ও অশিক্ষিত নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের কোনো স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই বললেই চলে। বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সংস্থা ও উপাদেয় বলে তারা এসব রেডিমেট খাবার খাচ্ছে। রাস্তার এসব খাবার তৈরি হয় মূলত আটা, ময়দা, বেসন, মাংস, ডিম, শাকসবজি ও তেল দিয়ে। এতে ব্যবহার করা হয় দূষিত পানি। এ ছাড়া তৈরি খাবারের নিষিদ্ধ উপকরণ রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে। দূষিত পানিতে ই-কোলাই জাতীয় জীবাণু থাকায় তা স্বস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনিটারি অফিসার জামাল হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি টিএনও সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। সচেতন মহল মনে করেন, সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার তৈরির পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। রাস্তার খাবার বিপণন এক শ্রেণির মানুষের উপার্জনের মাধ্যম। আবার এ খাবার ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি, তা-ও মেনে নেয়া যায় না। সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন