চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বরকল সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার বেইলিব্রিজটি ঝুঁকিপ‚র্ণ হওয়ায় ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তবে সওজ কর্তৃপক্ষ বলছে শিগগিরই সেখানে নুুন বেইলিব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
এলাকাবাসী জানান, জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আনোয়ারা-বরকল সড়ক অন্যতম। এ পথ দিয়ে উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামের মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীবাহী যানবাহন, চট্টগ্রাম-বরকল ও চট্টগ্রাম-মালঘর-ছত্তারহাট রুটের বাস, আশপাশের কলকারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ট্রাক-কাভার্ডভ্যানসহ ছোট-বড় শত শত যানবাহন চলাচল করে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে বিকল্প হিসেবে অনেক গাড়ি এ সড়ক দিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করে। তখন এ সড়কে যানবাহনের চাপ আরো বেড়ে যায়।
প্রায় ৩ যুগেরও বেশি সময় আগে নির্মিত সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স¤প্রতি সেতুর অনেকাংশে পাটাতন ভেঙে কিছুটা দেবে যায়। এতে ঝুঁকিপ‚র্ণ হয়ে ওঠে যানবাহন চলাচল।
এ অবস্থায় দোহাজারী সওজ বিভাগ সেতুটিকে ঝুঁকিপ‚র্ণ বলে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেতুর দুই পাশে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। কিন্তু সওজ ঝুঁকিপ‚র্ণ ঘোষণা করলেও বিকল্প সড়ক না থাকায় ওই সেতুর ওপর দিয়ে বিভিন্ন ভারী যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগেও সেতুটির মাঝের অংশের পাটাতন ভেঙে পড়েছিল। পরে সেখানে স্টিলের প্লেট দিয়ে মেরামত করে যানবাহন সচল রাখে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের মতে, সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে জেলা শহর ও উপজেলা সদরের সঙ্গে এলাকাবাসীর সহজ যোগাযোগ পথটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়বে আনোয়ারা, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলাসহ আশপাশের লাখ লাখ মানুষ এবং এসব এলাকার স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ ওই পথে যাতায়াতকারীরা। তারা দ্রæত সেতুটি মেরামত বা বিকল্প সেতু নির্মাণ করার দাবি জানান।
উপজেলার ষোলকাটা গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের শত শত যানবাহন চলাচল করে। সওজ সেতুটি ঝুঁকিপ‚র্ণ ঘোষণা করলেও প্রচারণা কম থাকায় সব ধরনের ভারী যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই বাধ্য হয়ে সেতু দিয়ে চলাচল করে। গুরুত্ব বিবেচনা করে সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন ইনকিলাবকে জানান, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ চট্টগ্রাম জোন প্রকল্পের আওতায় পুননির্মাণ করা হবে। এ কাজের দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুতই এর নির্মাণকাজ শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন