রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : রাঙ্গুনিয়ার দুধপুকুরিয়া রাবার ড্যাম এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাসী স্ত্রী জোসনা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধু গুরুতর আহত করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গৃহবধু’র মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে যায়। এসময় প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৬২ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী। অব্যাহত হত্যার হুমকিতে তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে রাঙ্গুনিয়া সাংবাদিক কার্যালয় লিচুবাগানে গতকাল মঙ্গলবার আহত অবস্থায় উপস্থিত হয়ে প্রবাসীর স্ত্রী জোসনা আক্তার জানিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের দুধপুকুরিয়া গ্রামের প্রবাসী ওমর ফারুক নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে বসতবাড়ির পাশে প্রায় ৫ একর জায়গা খরিদ করে সেখানে ফলজ বাগান সৃজন করেন। ওমর ফারুক প্রবাসে থাকার সুবাধে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার বাগানের দেখভাল করতেন। জায়গা ও বাগানের গাছ মূল্যবান সম্পদে পরিণত হওয়ায় স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের লোলুপদৃষ্টি পড়ে। গত ৮ মে জায়গা ও বাগান দখলের জন্য প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবাসীর বাগানে মূল্যবান প্রায় এক হাজার ফলদি আম গাছ কেটে ফেলে। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়।
গৃহবধু জোসনা আক্তার জানান, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করার যাওয়ার পথে দুধপুকুরিয়া রাবার ড্যাম এলাকায় পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা জনৈক শাহ আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দা, ছুরি, কিরিচ, লাঠিসোটা, লোহাররড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফারুক সহ গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে প্রথমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর হাসপাতালে করা হয় এবং পরে আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা নগদ ১০ হাজার টাকা, ১টি স্যামসাং জে-২ মোবাইল ও একভরি ওজনের একটি স্বর্ণ চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে প্রবাসীর স্ত্রী জোসনা আক্তার দাবি করেন। চমেক হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসার পর প্রবাসীর স্ত্রী জোসনা আক্তার বাদী হয়ে গত ১০ মে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জনৈক শাহ আলম, খোরশেদ, মাসুদ, সাজ্জাত, শাকিল, ইলিয়াছ, সাকিব সহ ৭ জনের নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা হলেও সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রবাসী পরিবারকে হত্যার হুমকি ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। জোসনা আক্তার কান্না জড়িত অবস্থায় এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় যখন রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করতে যায় পুলিশ তখন আমার মামলা গ্রহন করেনি। কোন উপয় না দেখে গত ১০ মে কোর্টে মামলা করতে বাদ্ধ হয়। মনে করে ছিলাম থানা পুলিশ মানুষকে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য রাখা এবং সেবা দিয়ে আসছে । এর আলোকে যখন রক্তাক্ত অবস্থায় যখন থানায় মামলা প্রদানের জন্য যায় তা গ্রহণ না করে কোর্টে যাওয়ার জৈনিক পুলিশ কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে প্রস্থান করেন । তখন দেশের আম জনতা প্রবাত বাক্যটি সত্য হলো প্রশাসন থেকে জনগনের আস্থা উঠে গেছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন